নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ গাওয়ালী কাঠমুন্ডুর নতুন মানচিত্র অনুযায়ী সীমান্ত বিরোধ নিষ্পতিতে ভারতকে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তার দেশ সীমান্তের সমস্যা সমাধানে আলোচনার জন্য ভারতের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষা করছে।
মঙ্গলবার (৯ জুন) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ভারতকে আলোচনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। নেপাল সমস্যা সমাধানে আলোচনার টেবিলে বসতে চেয়েছে। আমরা দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য অপেক্ষা করছি।
গত ৮ মার্চ উত্তরাখন্ডের পিথাউরাগড়-লিপুলেখের মধ্যে একটি লিংক রোডের উদ্বোধন করেছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তার পর থেকেই বিবাদের শুরু। নেপালের দাবি, ওই ভূখন্ড তাদের। সড়ক উদ্বোধনের সময় কাঠমান্ডুতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে নিজেদের আপত্তির বিষয়টি উল্লেখ করে একটি কূটনৈতিক পত্র দেয় নেপাল সরকার। কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই ভূখন্ড কোনো দিনই নেপালের ছিল না। তাই সেখানে রাস্তা নির্মাণের অধিকার ভারতের রয়েছে।
এরপর দুই দেশের বিতর্কিত কালাপানি, লিপুলেখ ও লিমপিয়াধুরা অঞ্চলকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে কাঠমুন্ডু। মন্ত্রিসভার একটি বৈঠকের পর নেপাল সরকারের মুখপাত্র ও অর্থমন্ত্রী যুবরাজ খাটিওয়াদা জানান শিগগিরই নতুন এই মানচিত্র কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, নেপাল ও ভারতের মধ্যে ১৬ হাজার কিলোমিটারের বেশি খোলা সীমান্ত রয়েছে। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গার অধিকার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। কালাপানি, লিপুলেখ ও লিমপিয়াধুরা নিয়ে ভারত ও নেপালের দ্বন্দ্ব পুরনো।
ভারতের চিফ অব আর্মি স্টাফ মনোজ নারাভানে মন্তব্য করেছিলেন, লিপুলেখের লিংক রোড নিয়ে নেপাল সরকারের আপত্তির কারণ অন্য। এক্ষেত্রে অন্য কেউ কলকাঠি নাড়াচ্ছে। গত বছর ভারতের প্রকাশিত নতুন মানচিত্রে কালাপানি ও লিপুলেখ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এবার নেপাল এই অংশগুলো নিজের বলে মানচিত্রে প্রকাশ করে। ফলে দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে।