নিজস্ব প্রতিবেদক: মাস তিনেক আগে কোরিয়ার দেইগু শহরে অনুষ্ঠিত ‘দেইগু কালারফুল ফেস্টিভ্যাল’–এ প্রশংসা কুড়িয়ে আসে বাংলাদেশের তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্যান্স থিয়েটার। সামনে আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে আমন্ত্রিত হতে যাচ্ছে দলটি। এরই মধ্যে খবর এসেছে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে নাচের দলটি তাদের প্রযোজনা ‘ওয়াটারনেস’–এর একটি মঞ্চায়ন করছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে এ প্রদর্শনী হবে।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনের ছায়া অবলম্বনে জল ও নারীর সম্পর্ক নিয়ে তৈরি ‘ওয়াটারনেস’ ড্যান্স থিয়েটার বা নৃত্যনাট্য। তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্যান্স থিয়েটারের ব্যানারে কাদম্বরী দেবীকে উৎসর্গ করা নাটকটি মঞ্চায়িত হবে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে।
তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্যান্স থিয়েটারের প্রযোজনা ‘ওয়াটারনেস’–এর প্রথম প্রদর্শনী ২০১৫ সালে শুরু হয়। বাংলা ও ইংরেজিতে নির্মিত ৪৫ মিনিট ব্যাপ্তির এ প্রযোজনার পাণ্ডুলিপি লিখেছেন ধীমান ভট্টাচার্য, সংগীত পরিচালনায় সুমন সরকার এবং মূল ভাবনা, নকশা, নৃত্য পরিচালনা ও নির্দেশনায় পূজা সেনগুপ্ত। নৃত্য ও অভিনয়ে অংশ নিয়েছেন পূজা সেনগুপ্ত, আতিক রহমান, ফারিয়া পারভেজ, লোপা অধিকারী, সাথিয়া ইসলাম, তাসনিয়া ইশা, অদৃজা সেনগুপ্ত, শাকিল আহমেদ, প্রান্তিক দেব প্রমুখ।
‘ওয়াটারনেস’ প্রসঙ্গে পূজা বলেন, ‘জল ও নারীর সম্পর্ক নিয়ে একটি নিরীক্ষাধর্মী প্রযোজনা এটি, যা ১৮৯০ থেকে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনকালের বিভিন্ন রচনা, লেখনী, সাহিত্য, চিঠি, গান, চিত্রকর্ম ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডকে অবলম্বন করে গড়ে উঠেছে। এ সময়ে কবিগুরুর জীবন ও ভাবনায় জল ও নদী গভীর ছাপ রেখেছিল। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ব্যক্তিজীবনে যে ক্রমাগত সংগ্রাম, স্বজন হারানোর বেদনা আর অন্তর্দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন, তার প্রভাবে কবিগুরুর লেখনীতে এক বিবর্তনের ধারা সূচিত হয়েছিল, যা গবেষণার মাধ্যমে এ প্রযোজনায় সংকলন করার চেষ্টা করেছি আমরা।’
এ মুহূর্তে তাঁদের আরও কিছু ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যালের আমন্ত্রণ রয়েছে বলে জানান পূজা সেনগুপ্ত। পূজা বলেন, ‘করোনা কাটিয়ে, এ বছর তো ফেস্টিভ্যাল শুরু হলো, দুটিতে অংশ নিলাম। সামনে ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুরের ইনভাইটেশন আছে, এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি যাওয়ার। তবে কোভিডের কারণে আমাদের যে প্রোডাকশনগুলোর মঞ্চায়ন করতে পারিনি, সেগুলো নিয়ে ভাবছি। এ বছর আমরা একটা নতুন প্রোডাকশনও মঞ্চে আনার পরিকল্পনা করেছি।’