পশ্চিমবঙ্গ নিউজ ডেস্ক: আগেও একাধিক জায়গা গেরুয়া রঙের বিষয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সমালোচনা শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। এর আগে তিনি একটি নবান্ন থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলেছিলেন, ‘গেরুয়া একটি পবিত্র রং। ত্যাগের প্রতীক। ত্যাগের প্রতীককে যদি ওরা অত্যাচারের প্রতি হিসেবে ব্যবহার করে তাহলে মানুষ মেনে নেবে না।’ শুক্রবার গেরুয়া রং নিয়ে বিজেপিকে ফের আক্রমণ করলেন তিনি।
পোস্তায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে বিজেপিকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সব কিছু গেরুয়া করে দিচ্ছে ওরা।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি নিয়ে এই আপত্তি। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘রং দে তু মোহে গেরুয়া’ করার মনোভাব নিয়ে কটাক্ষ মমতার। এর পিছনের রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে” বলে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি।
ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিমেও গেরুয়া রঙ লাগাতে চাইছে। অনুশীলনের সময় ক্রিকেটারদের গেরুয়া রঙের জার্সি পরতে হয়। ওরা লড়াই করে ম্যাচের সময়ে নীল রঙের জার্সি পরে।’
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা সেরা খেলোয়াড়। আমি ওদের স্যালুট করি। আমি বিশ্বাস করি, ওঁরাই এবারে ক্রিকেট বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হবে। কিন্তু ওদেরও গেরুয়া বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জার্সিকে গেরুয়া করেছে। ওঁরা তো নীল রংয়ের জার্সি পরে ম্যাচ খেলে।’
এটা বলেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। তিনি বলেন, ‘এঁরা মেট্রোর রং গেরুয়া করে দিচ্ছে। নিজের নামে স্টেডিয়াম বানাচ্ছেন। এখন তো সব কিছুই নমো-র (নরেন্দ্র মোদী ) নামে হচ্ছে। এরকম আমি কোনওদিন দেখিনি। দেশের নামে কিছু করুক, আমাদের আপত্তি নেই। গুজরাটের কোনও জনপ্রিয় নেতা যিনি ছিলেন, তাঁর নামে করুক তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু এটা কি?’
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ভাইফোঁটার পরে সকলে অপেক্ষায় থাকেন আরও এক বড় উৎসব-জগদ্ধাত্রী পুজোর৷ বাংলা মাস অনুযায়ী অগ্রহায়ণ মাসের চার তারিখে। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে, অক্ষয় নবমী ব্রত। পার্বতীরই অপর রূপ দেবী জগদ্ধাত্রী। প্রত্যেক বছর ধুমধাম করে জগদ্ধাত্রী পুজো হয় পোস্তায়। ব্যবসায়ীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই পুজোয় আমন্ত্রণ জানান। প্রত্যেক বছর নিয়ম করে পোস্তায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে আসেন তিনি। সেই মতো এবারও পোস্তায় পুজোর উদ্বোধনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন তৃণমূলের কিছু নেতানেত্রী।