পশ্চিমবঙ্গ নিউজ ডেস্ক: আপাতত রাজ্যের বনমন্ত্রী পদে থাকছেন রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বালুর দফতর বণ্টন নিয়ে কোনওরকম আলোচনা হয়নি। এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে মন্ত্রীপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে তাঁর মন্ত্রক ভাগ করে দেওয়া হয়। বালুর ক্ষেত্রে তা হয়নি।
জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বনমন্ত্রকের দায়িত্ব ওই মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা সামলাচ্ছেন। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে বালুর মন্ত্রক বণ্টন নিয়ে কোনওরকম আলোচনা না হওয়ায়, ধরে নেওয়া হচ্ছে আপাতত বীরবাহাই ওই দায়িত্ব সামলাবেন। তবে মন্ত্রী পদে জ্যোতিপ্রিয়ই থাকবেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকেই বনমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, “বালুকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে।” ইডি-সিবিআইয়ের বাড়াবাড়ি নিয়ে এদিনও সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা এদিন আরও একবার যেভাবে জ্যোতিপ্রিয়কে ফাঁসানো হয়েছে বলে সুর চড়ালেন, তাতেই স্পষ্ট দল পুরোপুরিই বালুর পাশে থাকছে।
জ্যোতিপ্রিয়কে মন্ত্রীপদ থেকে যেমন সরানো হয়নি, তেমনি উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাপতির পদ থেকেও সরানো হয়নি। তবে সামনেই যেহেতু লোকসভা ভোট, তাই তৃণমূলের সাংগঠনিক কাজকর্মে যাতে অসুবিধা না হয়, সেদিকেও নজর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে যে সাংগঠনিক দায়িত্ব জ্যোতিপ্রিয় সামলাতেন, সেই দায়িত্বগুলি উত্তর ২৪ পরগনারই অন্য মন্ত্রীদের দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সুজিত বোস, পার্থ ভৌমিকরা বাড়তি সাংগঠনিক দায়িত্ব পেতে চলেছেন।
এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে দীপাবলি চলাকালীন আইনশৃঙ্খলার দিকে নজর রাখার জন্যও মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি মন্ত্রীদের উদ্দেশে বলেন, পুলিশ প্রশাসন নিজেদের মতো কাজ করবে, সেই সঙ্গে আপনাদেরও এলাকায় নজরদারি চালাতে হবে।
আসলে লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হিংসা ছড়ানো হতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মমতা। সেকারণেই কালীপূজোর সময় মন্ত্রীদের বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন তিনি।