আগরতলা: ত্রিপুরা সরকারি কর্মচারী ও পেনশনারসদের মহার্ঘ্যভাতা উপহার দিল রাজ্য সরকার। আজ বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা মন্ত্রিসভা সরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ও পেনশনারসদের ৩ শতাংশ মহার্ঘ্যভাতা প্রদানে অনুমোদন দিয়েছে। ১ মার্চ থেকে তাঁরা মহার্ঘ্যভাতা পাবেন। তাতে ত্রিপুরা সরকারের অতিরিক্ত খরচ হবে ৩২০ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সপ্তম বেতনক্রম দেওয়া হয়েছে। তবে, ২০১৮ সাল থেকে সরকারি কর্মচারীরা মহার্ঘ্যভাতা পাননি। এক্ষেত্রে অবশ্যই ত্রিপুরার অর্থনৈতিক অবস্থা দায়ী, তা অস্বীকার করার কোনও সুযোগ নেই। পূর্বতন সরকার প্রচুর আর্থিক বোঝা রেখে গেছে। ফলে, দৈনন্দিন খরচ বহন করে সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
আজ ত্রিপুরা মন্ত্রিসভা ৩ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে। আগামী ১ মার্চ থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ। তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় ১ লক্ষ ১০ হাজার ৫১৭ জন নিয়মিত শিক্ষক-কর্মচারী এবং পেনশনার্স রয়েছেন ৬৭,৮০৯ জন। এছাড়া ডিআরডাব্লিউ, স্থির বেতন ইত্যাদি মিলিয়ে আরও রয়েছেন ১২ হাজার ১৭৮ জন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর ত্রিপুরায় নয়া বেতনক্রম লাগু হয়েছে। কিন্তু আর্থিক অসঙ্গতির কারণে মহার্ঘ্যভাতা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাঁর দাবি, করোনাকালে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া দেশের কোনও রাজ্য মহার্ঘ্য ভাতা দিতে পারেনি।
এদিন তিনি জানান, শিক্ষক-কর্মচারী এবং পেনশনারসদের মহার্ঘ্যভাতা দিতে অতিরিক্ত ৩২০ কোটি টাকার প্রয়োজন। তাতে শুধু মার্চের জন্য ২৪ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা এবং ২০২১-২২ অর্থ বছরের জন্য ২৯৫ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে অতিরক্ত ব্যয় হবে। পেনশনার্স রয়েছন ৬৭৮০৯ জন।