- রাঘববোয়ালদের বাঁচানোর চেষ্টা
- ৭৮ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন
ঢাকা অফিস: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গত সোমবারও আদালতে জমা পড়েনি। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আগামী ৯ জুলাই নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রায়হান উদ্দিন সোমবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই তারিখ ধার্য করেন৷ এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত শেষ করতে এ নিয়ে ৭৮ বার সময় নিল সিআইডি৷ ম্যানিলাভিত্তিক আরসিবিসির অ্যাকাউন্টগুলোতে অন্তত ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার স্থানান্তর করা হয়, যেখান থেকে তা ফিলিপাইনের ক্যাসিনোগুলোতে চলে যায়৷
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সুইফট পেমেন্ট পদ্ধতিতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে এই বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন। পরে বিভিন্ন সময় ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ফেরত আনা সম্ভব হয়। এখনো ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার ৩৯ দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মতিঝিল থানায় মামলা করা হয়। ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা করেন৷ মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্তত ১৩ জনের গাফিলতি, অবহেলা ও দায় ছিল। রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির তথ্য ১ দিন পর জানতে পারলেও বাংলাদেশ ব্যাংক তা ২৪ দিন গোপন রাখে। ৩৩তম দিনে বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি তৎকালীন অর্থমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়।