যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শক্তি ডলারের একাধিপত্যে ভাগ বসাচ্ছে বিশ্বের বাঘা বাঘা অন্যান্য দেশ। অনেকেই বলছেন, এককালের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের উপনিবেশিক শক্তির মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দিনও ফুরিয়ে আসছে।
ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হয়ে উঠছে বিভিন্ন আঞ্চলিক মুদ্রা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়ার বিপক্ষে মার্কিনিদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র ছিল ডলার। রাশিয়াকে সুইফট থেকে বের করে দেয়া, রাশিয়ার রিজার্ভ ডলার ফ্রিজ করে দেয়া থেকে শুরু করে নানামুখী কর্মকাণ্ডে এক রকমের বিপদেই পড়েছিল ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ।
রাশিয়াকে ডলারের রাজত্ব থেকে বের করে দেয়া, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ ও ইরানের ওপর পুরনো নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে বিশ্ব বার্তা পেয়েছে, যে ডলারকে তারা এতদিন ভরসা করে আসছিল, মার্কিন সরকার চাইলে সেই ডলার দিয়েই যখন তখন তাদের ঘায়েল করতে পারে।
তাইতো মার্কিনিদের ধারাল অস্ত্র ডলারকে ভোঁতা করে দিতে উঠে পড়ে লেগছে চীন-রাশিয়া-ভারতের মতো অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলো।
ডলার যেন সামরিক অস্ত্র
ডলারকে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক অস্ত্রের মতো ব্যবহার করছে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, ডলারকে রাজনীতি ও সামরিক অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে আমেরিকা। চাইলে একটি দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে, তার রিজার্ভে থাকা ডলার ফ্রিজ করে দেশটিকে বেকায়দায় ফেলতে সিদ্ধহস্ত তারা।
রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে পাঙ্গা নিয়ে এ ব্যাপারটিকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার ওঠানামার চক্রে অন্যান্য দেশে নিজেদের মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মান বেড়েছে অনেক। এতে করে দেশে দেশে ডলার নিয়ে একটি ভীতি সৃষ্টি হয়েছে। এই ভীতির ওপরেই ভিত করেই অন্য মুদ্রা খুঁজতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দেশগুলো।
সামনে কি নতুন মুদ্রাযুগ
ডলারের আধিপত্য ছাড়িয়ে বিশ্ব নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক আকাশ বলেন, ইতোমধ্যে বিশ্ব নতুন যুগে প্রবেশ করেছে, যা স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিচ্ছে কালক্রমে ডলারের ওপরে নির্ভরতা কমছে। রাশিয়া চীনের সঙ্গে ইউয়ানে, ভারতের সঙ্গে রুপিতে, ইরানের সঙ্গে রুবলে ব্যবসা করছে।
ভারতের মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মান বেড়ে যাওয়ায় ভারত নিজেদের মুদ্রাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।
খেয়াল করলে দেখা যাবে, চীন বর্তমানে অর্থনৈতিকভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও দেশটি দ্রুত প্রথম অবস্থানে আসার চেষ্টা করছে। ভারত পঞ্চম থেকে তৃতীয় অবস্থানে চলে আসবে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রকে টপকাতে ভারতের অনেক সময় লাগবে।
কিন্তু চীন-ভারত একাট্টা হয়ে নিজেদের মুদ্রাকে সার্বজনীন করলে ডলারের বিপরীতে দাঁড়িয়ে যাবে ইউয়ান এবং রুপি। বিশ্ব হয়তো ডলার একাধিপত্য অর্থাৎ মনোপলি থেকে সরে এসে রুপি-ইউয়ানের ডুয়োপলিতে প্রবেশ করবে।
সংশয়ে খোদ যুক্তরাষ্ট্র
খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই বুঝতে পারছে যেদিকে যাচ্ছে হালের বাতাস তা ঠিক তাদের অনুকূলে নেই। চলতি বছর মার্চে দেশটির বৃহৎ ব্যাংক জেপি মর্গানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে রাশিয়াকে বের করে দেয়ার পর ব্রিকসভুক্ত দেশগুলো ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে উঠে-পড়ে লেগেছে।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দেশগুলোর সঙ্গে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলো যোগ দিলে এবং নিজেদের নতুন মুদ্রাব্যবস্থা চালু করলে একরকমের বিপদেই পড়বে এতদিনের সুপারপাওয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
জেপি মর্গানের বিশ্লেষক মিরা চন্দন ও অক্টাভিয়া পপেস্কু বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ডিডলারাইজেশন’ হচ্ছে এটা হলফ করে বলা যাবে না। তবে ডলারের গ্রহণযোগ্যতা কমে আসছে। যদিও বিশ্ববাজারে এখনও ডলারের আধিপত্য বিরাজমান কিন্তু সেটি কমতে শুরু করেছে। যে ফেডারেল রিজার্ভকে অঘোষিতভাবে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলা হয়, সেই ফেডারেল রিজার্ভেরই শেয়ারের পরিমাণ কমছে।
এদিকে ডলারের মূল শক্তির উৎস যেখানে পেট্রোডলার, সেখানে পেট্রোডলারের পেট্রোলিয়ামের মালিক সৌদি আরব বর্তমানে চীনের সঙ্গে ইউয়ানে জ্বালানি ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। একইভাবে ব্রাজিল ও রাশিয়ার সঙ্গেও ইউয়ানে ব্যবসা করছে চীন। যদিও ইউয়ানের অবস্থান এখনো ডলারের নিচে, তবে ইতোমধ্যে ইউরোকে ছাড়িয়ে গেছে ইউয়ান। এদিকে ডলারে বিশ্ববাজারে রফতানির পরিমাণ কমে এলেও, প্রতিমাসে রেকর্ড গড়ছে চীনা মুদ্রা ইউয়ান।
ডলারের বিকল্প কী
বিশ্লেষকরা বলছেন, সাদাচোখে ইউয়ানকে ডলারের বিকল্প মনে হলেও মূলত ইউয়ান এককভাবে বিশ্বের বুকে শিগগিরই রাজত্ব করতে পারবে না। এক্ষেত্রে ডলার হয়তো তার একাধিপত্য হারাবে, তবে নতুন কোনো মুদ্রা একক আধিপত্য অর্জনে সময় লাগবে। এতে করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে নানা ধরনের মুদ্রার মান ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বাইরে আঞ্চলিক সংগঠন যেমন ব্রিকসের মতো সংগঠনের মধ্যে ব্যাবসায়িক খাতে নিজস্ব মুদ্রা চালু হতে পারে।
চলতি বছরের এপ্রিলে সংবাদমাধ্যম পলিটিকোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আমেরিকার মিত্র দেশ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়্যেল ম্যাক্রো বলেন, ডলারের ওপর অধিক নির্ভরশীলতা ইউরোপের জন্য ক্ষতিকর। অবস্থা বুঝে ইউরোপকে ব্যবস্থা নিতে হবে। যেভাবে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সামনে আসছে, এতে স্রোতের অনুকূলে গা ভাসানোই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
তবে বাংলাদেশের পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর সময় সংবাদকে বলেন, এটি এমন না যে রাতারাতি ডলারের পরিবর্তে অন্য মুদ্রার উদয় হবে। ভারত কিংবা চীনকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশ বলা হচ্ছে এর মোট জনসংখ্যার আয়ের ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু মাথাপিছু আয়ের জায়গায় পশ্চিমারা এখনো এশিয়ার থেকে অনেক এগিয়ে আছে।
এতদিন চেষ্টা করেও চীন গোল্ডম্যান স্যাচের মতো কোনো প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে পারেনি। কিংবা ভারতের অর্থনৈতিক কাঠামোর থেকে স্ক্যান্ডেনেভিয়ান যেকোনো দেশ বা অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের অর্থনৈতিক কাঠামো অনেক গোছানো। এরা হয়তো দ্বিপাক্ষিক বা আঞ্চলিক বাণিজ্যে নিজস্ব মুদ্রা ব্যবহার করছে। এটি হয়তো ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। কিন্তু নিজস্ব মুদ্রাকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতে যে অর্থনৈতিক কাঠামো প্রয়োজন চীন ও রাশিয়ার এখনো সে সক্ষমতা সৃষ্টি হয়নি।
ডলার নিয়ে খেলে বিপদে যুক্তরাষ্ট্র
এদিকে খেয়াল খুশিমতো নিষেধাজ্ঞা বা ডলারকে সামরিক অস্ত্রের মতো ব্যবহার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বুমেরাং হয়ে উঠছে, বার্তাসংস্থা সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির ট্রেজারি সেক্রেটারি জেনেট ইয়েলেন এমনটাই জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এমন কোনো নিষেধাজ্ঞা যা ডলারের বাজারের সঙ্গে সম্পর্কিত তা আরোপ করা হলে দেশগুলো ডলারের ওপরে আস্থা হারাবে। এতে করে বিকল্প মুদ্রা খুঁজবে দেশগুলো, আধিপত্য কমবে ডলারের।
ইয়েলেন বলেন, চাইলেই যুক্তরাষ্ট্র ডলার দিয়ে অন্য দেশকে কুপোকাত করতে পারে। এটি আমেরিকার নিষাধাজ্ঞা প্রদানের পছন্দের অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। যা রাশিয়া, চীন ও ইরানের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু হরহামেশা একই অস্ত্র ব্যবহার করতে থাকলে বাকিরা এটি মোকাবিলার রাস্তা খুঁজে নিবে। তখন সুবিধার চেয়ে অসুবিধার খাতাই বেশি ভারী হবে।
কোন পথে বাংলাদেশ
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের পর থেকেই বড় রকমের ডলার সংকটে পড়েছে এশিয়ার অনেক দেশ; যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, রিজার্ভে টান, ঋণপত্র (এলসি) খোলায় জটিলতা থেকে শুরু করে নানামুখী সমস্যার মধ্যে নতুন করে সামনে এসেছে আমেরিকা ও বাংলাদেশের বর্তমান সম্পর্কের বিষয়টি।
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, রিজার্ভে সিঙ্গেল কারেন্সি থাকলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইলেই নিষেধাজ্ঞার নামে সেই দেশে একচেটিয়া আধিপত্য বিরাজের চেষ্টা করতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশ্বের বড় বড় দেশগুলো একক মুদ্রার মজুত থেকে সরে এসে বহু মুদ্রা মজুতের দিকে আগাচ্ছে। এক্ষেত্রে সম্প্রতি বাংলাদেশের রুপিতে বাণিজ্য ডলারের ওপর একক নির্ভরতা কমাবে।
আমদানি-রফতানির বাজারের কথা উল্লেখ করে আকাশ বলেন, ভারত কিংবা চীন বাংলাদেশের আমদানি বাজার হলেও মূলত রফতানি বাজার ইউরোপ-আমেরিকা। এক্ষেত্রে ইউরোপ-আমেরিকায় রফতানি করে বাংলাদেশ যেমনি ডলার আয় করতে পারবে, অন্যদিকে ভারত থেকে রুপিতে পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ ডলার সাশ্রয় করতে পারবে। এদিক দিয়ে টাকা-রুপির এ ব্যবস্থা বাংলাদেশকে সুবিধা দিবে।
অন্যদিকে ভারতে রফতানি করে বাংলাদেশ ডলার পাবে না এবং এতে করে ক্ষতির মুখে পড়বে বলে যারা ভাবছেন, মনে রাখতে হবে, একইভাবে আমদানির বেলায়ও ডলারের চাহিদা কমছে। ফলে দীর্ঘমেয়াদে কী হবে এখনই তা হলফ করে বলা না গেলেও, হাতে রুপি থাকলে স্বল্প মেয়াদে সেখান থেকে সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।
এর বাইরে বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় একেবারে নিরপেক্ষ থাকা যখন দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের ব্রিকসে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও বাংলাদেশ রাজনৈতিক দিকটিকে সামনে না এনে অর্থনৈতিক দিকেই জোর দিচ্ছে। তবে ধারণা করা যাচ্ছে, ব্রিকসে যোগদানের মাধ্যমে বিশ্ব মেরুকরণের খেলায় সরাসরি পা রাখছে বাংলাদেশ।
গত মাসে সময় সংবাদকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব সাব্বির আহমেদ চৌধুরি বলেছিলেন, পররাষ্ট্রনীতি অনুসারে বাংলাদেশ যখন কোনো সংগঠনে যোগ দিতে যায় তখন সবার আগে থাকে অর্থনৈতিক লাভের বিষয়টি। ব্রিকসের ক্ষেত্রেও তাই। বিশ্বে যেভাবে ডলার সংকট দেখা যাচ্ছে, সেখানে ব্রিকসের নিউ ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে নতুন একটি মুদ্রাব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা চলছে। এটি মোটেও সহজ হবে না; তবে দেশগুলোর মধ্যে সাংগঠনিক সম্পর্ক থাকলে অসম্ভব কিছু না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডলার আধিপত্যের আরেকটি শক্তির উৎস বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে টেক্কা দিতেই ব্রিকস গড়ে তুলেছে নিউ ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি)।
বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্য না হলেও শুরু থেকেই নিউ ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) সদস্য ছিল। সম্প্রতি নিউ ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ জানিয়েছেন, এনডিবি’র ৩০ শতাংশ ঋণ ডলারে না দিয়ে ইউয়ানে বা স্থানীয় মুদ্রায় দেবে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত করা এ পরিকল্পনা এনডিবি থেকে দেয়া ঋণের ৩০ শতাংশ সদস্য দেশগুলোর স্থানীয় মুদ্রায় দেয়া হবে। সে হিসেবে বাংলাদেশ ব্রিকসে যোগ দিলে এনডিবি থেকে নিজ মুদ্রায় ঋণ পাবে ও দিন দিন বিশ্বব্যাংক বা আইএমএফের মতো সংগঠনগুলোর ওপরে একপাক্ষিক মুখাপেক্ষিতা কমে আসবে।
এতে করে বাংলাদেশের অর্থায়নের নতুন আরেকটি ক্ষেত্র তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।