আসাম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতে কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান এবং ব্যাঘ্ৰ সংরক্ষিত অঞ্চলে সাফারি করেন আসামের মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং আধ্যাত্মিক গুরু জাগ্গী বাসুদেব। অসম সরকার আয়োজিত তিন দিনের চিন্তন শিবিরে যোগ দেন আধ্যাত্মিক গুরু জাগ্গী বাসুদেব।
শনিবার রাতে মিহিমুখ থেকে কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানে জিপ সাফারি করেন তাঁরা দুজন। সঙ্গে তাঁদের দেহরক্ষীরা ছিল। এর ফলে জাতীয় উদ্যানের নিয়ম উলঙ্ঘন করার অভিযোগ করেছেন অনেকেই। ফলে তীব্ৰ সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। জিপ সাফারিতে মুখ্যমন্ত্ৰীর সঙ্গে পৰ্যটন মন্ত্ৰী জয়ন্ত মল্ল বরুয়া এবং উদ্যান ও বন বিভাগের শীর্ষ অফিসাররাও ছিলেন।
রাতে উদ্যানে প্ৰবেশ করার কারণে রবিবার জিপ সাফারি করা সকলের বিরুদ্ধে বোকাখাত থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন সোনেশ্বর নরহ এবং প্ৰদীপ পেগু।
এদিকে কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কের ওয়েবসাইট অনুসারে সকাল ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত এবং দুপুর ২ টো থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত জিপ এবং হাতি সাফারি করার অনুমতি রয়েছে।
নাম প্ৰকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় উদ্যানের একজন অফিসার বলেন- উদ্যানের ভেতরে অফিসার এবং বন কর্মীদের বাদে কারোরই ভেতরে প্ৰবেশে অনুমতি নেই। সদগুরু এবং মুখ্যমন্ত্ৰী এই নিয়ম উলঙ্ঘন করার বিষয়টিতে অনেকেই বিষ্ময় প্ৰকাশ করেছেন।
বিষয়টিতে উদ্বেগ প্ৰকাশ করে বন্যপ্ৰাণী কর্মী মুবিনা আখতার সদগুরুর বিরুদ্ধে বন্য জীবন সুরক্ষা আইন ১৯৭২ এবং পশুর প্ৰতি নিষ্ঠুরতা প্ৰতিরোধ আইন ১৯৬০সালের ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন।
এ সম্পর্কে কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানের প্ৰাক্তন সঞ্চালক সুরজিৎ দত্ত বলেন- এধরনের কাজ বন্যপ্ৰাণীদের শান্তি নষ্ট করে। তাঁর কথায় তিনি জাতীয় উদ্যানের প্ৰাক্তন সঞ্চালক থাকার সময় সন্ধ্যে ৫ টার পর ভেতরে ঢোকার অনুমতি ছিল না। এখন কি শর্তে উদ্যানের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে তা তাঁর জানা নেই।
উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের জুলাই থেকে উদ্যানের ব্যঘ্ৰ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ মধ্য প্ৰদেশ সরকারকে রাজ্যের বাঘ সংরক্ষিত অঢ্চলে রাতে সাফারি বন্ধ করতে বলেছিল। কারণ রাতে সাফারি করলে বুনো জীব জন্তুরা অসুবিধা পায়।
এনটিসি আসামের বন বিভাগকে উদ্দেশ্য করে লেখা একটি চিঠিতে বলেছে- রাতে উদ্যানের ভেতরে জঙ্গলে জিপ সাফারি করলে বন্য প্ৰাণীবসবাস করা অঞ্চলে শব্দের সৃষ্টি হয়। এতে তাদের অসুবিধা হয়।