‘ভাইরাল’ বিষয়টি দেশে মহামারির আকার ধারণ করেছে। সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে যে কোনো ইস্যু পেলেই মহাসমারোহে ঝাঁপিয়ে পড়ছি আমরা। এটা বেশি দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কিছু পেলেই ভাইরাল করে। পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনামুখর হয়। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সংস্থা বা ব্যক্তি স্বাভাবিক সময়ে নির্বিকার হলেও ভাইরাল হওয়ার সে বিষয়ে মনোযোগী হয়।
সম্প্রতি তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্ট্যাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দারের টিপকাণ্ড, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা আমোদিনি পালের ক্ষেত্রে স্কুল ড্রেসকে হিজাব বানিয়ে ভাইরাল করা হয়েছে। এছাড়া কিছুদিন আগে ফেসবুকে প্রচারণা চালিয়ে সংখ্যালঘুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তারও আগে নুসরাত হত্যাকাণ্ড, তনু হত্যাকাণ্ড ও একরামুল হত্যাকাণ্ডসহ নানা বিষয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। রামুর ঘটনাও সবার জানা। এগুলোর কিছু ছিল ইতিবাচক, যা কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জনমনে স্বস্তি এনেছে। আর কিছু ছিল নেতিবাচক, যা সমাজে সৃষ্টি করেছে অস্থিরতা।
‘কিছু বিষয় ভাইরাল হলে ইতিবাচক ফল হয়। কিছু বিষয় ভাইরাল হলে অস্থিরতা তৈরি হয়। নেতিবাচক ভাইরাল হলে সমস্যা। আর এক্ষেত্রে অধিক সচেতনতাই পারে এই সমস্যার সমাধান করতে’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ভাইরাল প্রবণতা সমস্যা কি না, হলে এর সমাধান কোন পথে? এর থেকে উত্তরণের উপায়ই বা কী?
এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাল সব সময় সমস্যা নয়। কিছু বিষয় ভাইরাল হলে ইতিবাচক ফল আসে। কিছু বিষয় ভাইরাল হলে অস্থিরতা তৈরি হয়। নেতিবাচক বিষয় ভাইরাল হলে সমস্যা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষকে সত্যটা বিচার-বিশ্লেষণ করতে জানতে হবে। প্রভেদ জানতে হবে গণমাধ্যম আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের। ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার ও প্রয়োগ বুঝতে হবে। পাশাপাশি উদ্দেশ্যমূলক প্রচারকারীদের বিষয়ে নিতে হবে কঠোর ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ভাইরাল হয় সাধারণত নেতিবাচক জিনিস। একজন যদি মনে করে অমুক ব্যক্তি খারাপ, তাকে গালি দেওয়া দরকার, অপমান করা দরকার, সে তো সামনে গিয়ে গালি দিতে পারে না। যুক্তি বা তথ্য দিয়ে সংবাদমাধ্যমেও লিখতে পারে না। তখন সে ব্যক্তিগত মিডিয়ায় প্রচার করে। এটা সে তার মনস্তাত্ত্বিক অবস্থান থেকে করে। যার বা যাদের বিরুদ্ধে লিখলো, তারা হয়তো জানলোও না। তবে সে একটা তৃপ্তি পেলো যে, আমি তাকে সকালবেলা একটা গালি দিতে পারছি, অপমান করতে পারছি।
একটা সমাজে গণমাধ্যমের সাক্ষরতা বড় বিষয়। কোনো কিছু ছাপা বা প্রকাশিত হলেই মানুষ তা বিশ্বাস করবে না, তারা তথ্য-উপাত্ত-যুক্তি দিয়ে পরিসংখ্যান দিয়ে বিচার বিবেচনা করার চেষ্টা করবে
এ সমস্যার সমাধানের দুটো পথ আছে বলে মনে করেন এই সাংবাদিক নেতা। তিনি বলেন, একটি কঠোর পথ। সেটা হলো- যারা এমন অপপ্রচার করে, যুক্তি, তথ্য ও পরিসংখ্যান ছাড়া কোনো বিষয় প্রচার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পথে এগোতে হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মূল দর্শনই ছিল এটি। তথ্য, যুক্তি ও পরিসংখ্যান ছাড়া উগ্রপন্থি, ব্যক্তি বিদ্বেষমূলক, ধর্ম বিদ্বেষমূলক কিছু যদি প্রচার করা হয়, যেটা সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, সেটাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তার জন্য শক্ত লাইনে যেতে হবে। মিডিয়াটি বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। ফেসবুককে ধমক দেওয়া যেতে পারে। যেটা ভারতে হয়েছে। ভারত টুইটারকে বলেছে, আমাদের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার হয়েছে- বন্ধ না করলে ভারতে টুইটারই বন্ধ করে দেবো। টুইটার দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। ভালো করুক বা মন্দ করুক, ভারতের কাশ্মীরে দীর্ঘসময় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। এগুলো হার্ডলাইন।
‘আরেকটি হলো সফটলাইন। ক্যাম্পেইন করা, মানুষকে সচেতন করা যে, আপনি সত্যটা বিশ্বাস করেন। এই সত্যটা হলো- যেটা তথ্য, যুক্তি ও পরিসংখ্যান দিয়ে উপস্থাপন করা হয়, যা দেখছেন তাই সত্য নয়। এজন্য মানুষের মধ্যে মিডিয়া সাক্ষরতাও তৈরি করতে হবে।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে বাংলাদেশের মানুষ অভ্যস্ত হয়েছে কয়েক বছর হলো। এটার তো কিছু নিয়ম-নীতি আছে। সেগুলোও প্রতিপালনে সচেতন হতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আওয়ামী লীগের অনেকগুলো টিম কাজ করছে। আমরা বিষয়গুলো গভীরভাবে ভাবছি, কাজ করছি।
তিনি বলেন, ‘গুজব’ এখন আমাদের জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব গুজব রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অস্থিরতা তৈরি করে। এটা দুই ধরনের- একটা হলো, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে গুজব ছড়ানো, যেটা বাংলাদেশের অনেক আইনে অপরাধ। আরেকটা হলো- অজ্ঞতাবশত যাচাই-বাছাই না করে তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া। যেমন- ‘নায়ক ফারুক মারা গেছেন’ তথ্য দেওয়া হলো। আসলে খবর নিয়ে দেখা গেলো, মারা যায়নি। এটাও এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি করে। এজন্য গণসচেতনতা দরকার। মানুষের মানসিকতারও পরিবর্তন দরকার। বুঝে না বুঝে, জেনে না জেনে এভাবে তথ্য ছড়ানোও যে এক ধরনের আইনের লঙ্ঘন, এটার জন্য সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
এ বিষয়ে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ভাইরালের দুটো দিক আছে। একটা নেতিবাচক আরেকটা ইতিবাচক। সবগুলোকে আমি খারাপ চোখে দেখি না। যেমন- তনু হত্যাকাণ্ড এটা ভাইরাল না হলে মানুষের সামনে আসতো না। একই ধরনের ঘটনা কিন্তু আমরা দেখেছি কক্সবাজারের কাউন্সিলর একরামুলের ব্যাপারে।একরামুলের অডিও রেকর্ডভাইরাল হওয়ায় মানুষ জানতে পেরেছে, কীভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরীহ মানুষকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের অপকর্মের ফাস্টহ্যান্ড এভিডেন্স হিসেবে এই অডিও কাজ করেছে। এছাড়া বিশ্বজিতের ঘটনা ও নুসরাত হত্যাকাণ্ড ভীষণভাবে ভাইরাল হয়েছে। এগুলোকে আমি ইতিবাচক বলবো। আর কিছু ভাইরাল আছে নেতিবাচক। যেগুলো সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একটু বেশি সচেতন থাকতে হবে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া গেলে এ ধরনের ঘটনা অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
তিনি বলেন, আমরা ইন্টারনেটে অভ্যস্ত হয়েছি বেশিদিন হয়নি। নেটের ব্যবহার বিষয়ে আমাদের মধ্যে খুব একটা সচেতনতাও তৈরি হয়নি। আমরা একটা ট্রায়াল প্রসেসে আছি। এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ রাষ্ট্রের সংস্থাগুলোকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে। কিছুদিন আগে দুর্গাপূজার সময় যে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হলো। বহু মানুষ আহত হয়েছে, বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। এটা তো এই ফেসবুককাণ্ড থেকেই। সে সময়ে আমরা দেখেছি, পুলিশ বহু ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। অথচ পুলিশের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে এটা এতদূর ছড়াতে পেরেছে। সুতরাং আমরা যেহেতু এখন ট্রানজিশনাল অবস্থায় আছি, এই নেট দুনিয়ার সঙ্গে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হচ্ছি- এই সময়টাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ রাষ্ট্রের সংস্থাগুলোকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে।
ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তারিক বিন রশিদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সব সময় আমাদের নজরদারির মধ্যে থাকে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সম্ভব না। এজন্য সবার সহযোগিতা দরকার। যেমন- মিডিয়ার সহযোগিতা লাগবে আগে। মানুষ যখন সচেতন হবে, তখন আর স্বার্থান্বেষী মহল এই সুযোগ পাবে না।
তিনি বলেন, যখন আমরা একটু অসচেতন হই বা হুজুগের পেছনে ছুটি, তখনই মিথ্যা সংবাদ দিয়ে বা ভুয়া কিছু দিয়ে ভাইরাল করা যায়। মানুষ যখন মিডিয়ার মাধ্যমে এগুলো আরও বুঝতে পারবে ভালোভাবে, তখন এগুলো ভালোভাবেই কন্ট্রোল করা যাবে। মূলধারার গণমাধ্যমের মাধ্যমে যে কোনো বিষয় যাচাই করা সম্ভব।
মিডিয়া সাক্ষরতা কী?
ভাইরাল সমস্যার সমাধানে সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, প্রথম সমাধান হলো- গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পার্থক্য বোঝা। ফেসবুক, টুইটার থেকে শুরু করে সবই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এই সোশ্যাল মিডিয়ার সমস্যা হলো- তার কোনো এডিটর নেই, যা খুশি তাই প্রচার করতে পারে। প্রযুক্তিগতভাবে এটি খুব শক্তিশালী। এটাতে কিছু দিলে দ্রুত ছড়ায়। কিন্তু পৃথিবীর বহু দেশেই সোশ্যাল মিডিয়া, ব্যক্তিগত মিডিয়া আছে। তবে এটা সংবাদমাধ্যম নয়। যদিও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এর মিল আছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে এডিটর আছে, গেটকিপার আছে। কোনটা করা যাবে, কোনটা যাবে না, এটা ঠিক করার জন্য দায়িত্বশীল লোক আছে। যেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় নেই। ফলে সংবাদমাধ্যমের ভুল ধরা যায়, ব্যবস্থাও নেওয়া যায়। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গেটকিপার নেই। যার যা খুশি তাই দিচ্ছে। ভালো-মন্দ দুটোই। তারা ভালোটার জন্য প্রশংসা পায়, মন্দটার জন্যও পায়। এটা হলো প্রথম বিপদ।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিপদ হলো- সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা সবই বিশ্বাস করি। এই বিশ্বাসের জায়গাটাও বিপজ্জনক। এখানে একটা বড় জটিলতা আছে। গণমাধ্যমে যা প্রকাশিত হয়, সেটা সত্য হতে হবে। আমরা বলি সত্যের বিকল্প নেই। এই সত্যও কিন্তু চার ধরনের। এক. গণমাধ্যমে বা সংবাদমাধ্যমে যা ছাপা হয় তাই বিশ্বাস করে। মনে করে ছাপার অক্ষরে যা আসে তাই সত্য। দুই. এই মাধ্যমে যাই ছাপা হোক, তার কিন্তু নিজেরও একটা মত আছে। এটা বোধহয় এরকম নয়, এই রকম। অর্থাৎ সত্য মানুষ নিজের মতো করে ধারণা করে। তিন. মানুষ নিজে নিজে ব্যাখ্যা দাঁড় করায়। অর্থাৎ যা ছাপা হয়েছে সেটা ঠিক নয়। ছাপা যা হয়েছে তার থেকে নিজের মতো করে একটা ব্যাখা দাঁড় করায়। এই তিনটা সত্যের মধ্যে কোনো যুক্তি নেই, মানুষের বিশ্বাস সত্যে। চার. ব্যাক বাই ফ্যাক্টস অর্থাৎ যুক্তি, তথ্য-প্রমাণ দিয়ে যে সত্য। একটা সংবাদমাধ্যম যদি যুক্তি, তথ্য, প্রমাণ পরিসংখ্যান দিয়ে সংবাদ প্রচার করে, সেটা সত্য। সেটা ভাইরাল হোক আপত্তি নেই। এটা কার পক্ষে গেলো বা বিপক্ষে গেলো তা নিয়ে আপত্তি নেই। কিন্তু দুঃজনকভাবে যা ভাইরাল হয়, তার মধ্যে কোনো যুক্তি, তথ্য, পরিসংখ্যান উপাত্ত থাকে না। কিন্তু এটাও প্রচারিত হয়। কোনো কোনো মানুষ বিশ্বাসও করে।
‘এজন্য আমরা সব সময় বলি, একটা সমাজে গণমাধ্যমের সাক্ষরতা বড় বিষয়। কোনো কিছু ছাপা বা প্রকাশিত হলেই মানুষ তা বিশ্বাস করবে না, তারা তথ্য-উপাত্ত-যুক্তি দিয়ে পরিসংখ্যান দিয়ে বিচার-বিবেচনা করার চেষ্টা করবে।’
বিষয়টি নিয়ে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেহেতু সবার জন্য উন্মুক্ত, যে ব্যক্তি ক্ষুব্ধ হবে, তাকে আইনের আশ্রয় নিতে হবে। তখন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আমাদের জানাবে। আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো। অর্থাৎ, যে ক্ষুব্ধ হবে তাকে হয় থানায় যেতে হবে বা আদালতে যেতে হবে অথবা বিটিআরসিতে অভিযোগ করতে হবে। তখন আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।
দেশের বিষয় বা সামাজিক সংকট তৈরি করে এমন কিছু হলে? জবাবে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রের বিষয় হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিটিআরসি দেখবে। আমাদের মনিটরিং সেল আছে, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মনিটরিং সেল আছে, তারা এগুলো দেখভাল করে।
এ বিষয়ে কথা হলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, এ বিষয়ে আইনশৃঙ্ক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনী বলতে পারবে। এটি আমার মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়। আমরা হুকুম তামিল করি মাত্র। উৎসঃ জাগো নিউজ