জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, ঢাকা: করোনাভাইরাস মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারছে না ডিজিটাল পণ্যের বাজার। ঈদে পোশাকসহ অন্যান্য পণ্যের বিক্রি বাড়লেও মন্দা যাচ্ছে ডিজিটাল পণ্যের। রাজধানীর কয়েকটি মার্কেট ঘুরে ও বিক্রেতারা সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, সব ধরনের ডিজিটাল পণ্যের বিক্রি কমেছে। বিশেষ করে রোজা আসার পর এটা আরও কমে গেছে। ল্যাপটপ, ডেস্কটপ মনিটর, মোবাইল, ক্যামেরা, ওয়েব ক্যামেরা, ট্রাইপডের বিক্রি কমেছে।
তবে তরুণদের অনেকেই ইয়ারফোন, মোবাইল চার্জার, পাওয়ারব্যাংক, মোবাইলের কাভারের মতো ছোট ছোট ডিজিটাল পণ্য কিনতে দেখা গেছে। বাজারে পণ্যের সরবরাহ কম বলেও দাবি করেছেন বিক্রেতারা।
রোববার (১ মে) রাজধানীর আইডিবি ভবনের বিসিএস কম্পিউটার সিটি ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা নেই বললেই চলে। বিক্রেতারা অনেকেই অলস সময় পার করছেন। মোবাইলে ফেসবুক চালিয়ে তাদের সময় কাটছে। কেউ কেউ সময় কাটাচ্ছেন টেলিভিশন দেখে।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সাধারণ সম্পাদক ও সাউথ বাংলা কম্পিউটারের স্বত্বাধিকারী কামরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘রোজা শুরুর পর থেকে বিক্রি ৭০ শতাংশ কমেছে। ঈদে মানুষ পোশাক বেশি কেনাকাটা করেন। আইটি প্রোডাক্ট খুব একটা বিক্রি হয় না। এবার আমাদের হাতে নতুন পণ্যের স্টকও বেশি নাই। চীন থেকে মালপত্র আনা যাচ্ছে না। তবে আমার মনে হয় ঈদের পর এটা ঠিক হয়ে যাবে।’
বিসিএস কম্পিউটার সিটির এক্সেল কম্পিউটার দোকানের বিক্রেতা নওশাদ আলী বলেন, ‘ভেবেছিলাম করোনার পর বিক্রি বাড়বে। কিন্তু এই ঈদে বিক্রি হয়নি। অন্যান্য ঈদের তুলনায় এবার বিক্রি কম।’
ট্র্যাক সলিউশনের কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর ধরে এখানে আছি। আইটি সেক্টরে ঈদকেন্দ্রিক কেনাকাটা কম হয়। তবে এবার বিক্রি সবচেয়ে কম।’
উত্তর বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের ফারুক টেলিকম, এসপি টেলিকম ও কেয়া টেলিকমের ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সাধারণত ঈদের সময় সাউন্ডবক্স ও টিভি বিক্রি বেড়ে যায়। টিভিকার্ডেরও চাহিদা থাকে। কিন্তু এবার তাও নেই। তবে অনেকেই মোবাইল স্ক্রিন ও কাভার কিনতে আসছেন। কেউ কেউ আবার টিকটক ভিডিও বানানোর বিভিন্ন সামগ্রী কিনছেন।
সুবাস্তুতে কেনাকাটা করতে আসা সিদ্দিক হোসেন বলেন, ‘আমি একজন টিকটকার। লাইট কেনার জন্য এখানে এসেছি।’