সন্দীপ / সমীপ, কদমতলা (উত্তর ত্রিপুরা): গরু পাচারের সময় বিএসএফ-এর গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছে। বিএসএফ-এর দাবি, আত্মরক্ষায় পাম্প অ্যাকশন গান থেকে গুলি ছুঁড়তে হয়েছে তাঁদের। নয়তো পাচারকারীদের হামলায় এক জওয়ান শহিদ হয়ে যেতেন। ওই ঘটনায় উত্তর ত্রিপুরা জেলার অন্তর্গত কদমতলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ইয়াকুব নগরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিএসএফ-এর ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, শনিবার মধ্যরাতে কদমতলা থানাধীন ইয়াকুবনগর ১৬৬ নম্বর বিএসএফ ক্যাম্পের অধীন ১৮২৩/২-এস নং পিলার এলাকা দিয়ে পাচারকারীরা গরু পাচারের চেষ্টা করছিল। ভারতীয় অংশে ১২-১৫ জন এবং বাংলাদেশের অংশে ১০-১২ জন পাচারকারী গরু পাচারের সময় বিএসএফ-এর নজরে আসে। তিনি বলেন, ওই পাচারকারীদের মধ্যে কয়েকজন কাঁটাতারের বেড়া কেটে গরু বাংলাদেশে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। বিএসএফ জওয়ানরা তাদের বাধা দিতে গেলে পাচারকারীরা দা, লাঠি দিয়ে হামলা করে। এদিকে কয়েকজন রাতের অন্ধকারের সুযোগে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, পাচারকারীদের আক্রমণে বিএসএফ জওয়ান পি মহন্ত আক্রান্ত হন এবং আত্মরক্ষায় গুলি ছুঁড়তে হয়েছে। তাতে একজন পাচারকারীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত পাচারকারী বাংলাদেশের মৌলভিবাজার জেলায় জুরি থানাধীন পূর্ব বাটুলি গ্রামের বাসিন্দা বাপ্পা মিয়াঁ (৩২) বলে শনাক্ত হয়েছে। তিনি জানান, মৃত পাচারকারী ইতিপূর্বে একাধিক গরু পাচারের ঘটনার সাথে যুক্ত ছিল। তার সম্পর্কে বিজিবি-র সাথে আলোচনা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বিএসএফ জওয়ানরা দা এবং কাঁটাতারের বেড়া কাটার যন্ত্র ও একটি গবাদি পশু উদ্ধার করেছেন।
এদিকে, ওই ঘটনার খবর পেয়ে বিএসএফ-এর ডিআইজি রাজীব দোয়া এবং কদমতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। মৃতদেহ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ গ্রামীণ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।