আগরতলা: করোনায় আক্রান্তে সারা দেশের তুলনায় ত্রিপুরা সর্বক্ষেত্রেই যথেষ্ট ভালো অবস্থায় রয়েছে। জোর গলায় এই দাবি করেছেন শিক্ষা, ও আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ। তাঁর দাবি, করোনা আক্রান্তের হার, মৃতের হার, সুস্থতার হার এবং নমুনা পরীক্ষায় জাতীয় গড়ের পাশাপাশি দেশের একাধিক রাজ্যের তুলনায় যথেষ্ট ভালো অবস্থায় রয়েছে ত্রিপুরা।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় করোনা-র প্রকোপ এক সময় মারাত্মকভাবে দেখা দিয়েছিল। তাতে প্রচুর মানুষ করোনা-য় আক্রান্ত হয়েছেন। সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃতের হারও। তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হচ্ছে। কিন্তু এখনও আত্মসন্তুষ্টিতে ভোগার কোনও অবকাশ নেই। গাফিলতি কিংবা অসাবধানতার কোনও স্থান নেই।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এক সময় ত্রিপুরায় দুই শতাধিক কন্টেইনমেন্ট জোন ছিল। এখন শুধুমাত্র নলছর ব্লকে একটি কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে ত্রিপুরায় ৮৮৪ জন সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৬৭৩ জন বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
এদিন তিনি দাবি করেন, ত্রিপুরায় বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৬.১২ শতাংশ। দেশের ২৭টি রাজ্য সুস্থতার হারে ত্রিপুরা থেকে পিছিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, ক্রমশ সুস্থতার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো দেশের অনেক রাজ্যের তুলনায় দুর্বল। তবুও সুস্থতার হারে ত্রিপুরা দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে দিয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় প্রতি ১০ লক্ষ নমুনা পরীক্ষায় গড় ১,২৫৮১৩। এ-ক্ষেত্রে দেশের ২০টি রাজ্য ত্রিপুরা থেকে পিছিয়ে। এমনকি, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, হরিয়ানা, গুজরাতের মতো বড় রাজ্য ত্রিপুরা থেকে এ-বিষয়ে পিছিয়ে রয়েছে। এদিন তিনি আরও দাবি করেন, করোনা আক্রান্তের হারেও ত্রিপুরা দেশের ১৬টি রাজ্যের তুলনায় ভালো অবস্থায় রয়েছে। এমন-কি, জাতীয় গড় ত্রিপুরা থেকে বেশি। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্তের হার ৬.৪১ শতাংশ। সেই তুলনায় জাতীয় গড় ৬.৯৭ শতাংশ।
এদিকে, মৃতের হারেও ত্রিপুরা দেশের ১৯টি রাজ্যের তুলনায় ভালো অবস্থায় রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, ত্রিপুরায় বর্তমানে মৃতের হার ১.১২ শতাংশ। সেই তুলনায় জাতীয় গড় ১.৪৭ শতাংশ। তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় সকলের সম্মিলিত প্রয়াস আজ ত্রিপুরাকে নিরাপদ অবস্থানে রাখতে সহায়তা করেছে। তবে, এখনই নিশ্চিন্ত হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সাবধানতা এবং সতর্কতা অবলম্বনে কোনও গাফিলতি করা যাবে না, পরামর্শ দেন তিনি।