প্রতিনিধি, কলকাতা: বাংলাদেশের ঢাকার চিত্রশিল্পী রোকেয়া সুলতানার একক চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার আইসিসিআরের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেন্টারে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এই চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন কলকাতার সরকারি আর্ট ও ক্রাফট কলেজের অধ্যক্ষ ছত্রপতি দত্ত এবং কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস।
কলকাতার হোচিমিন সরণির আইসিসিআরের (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন্স) নন্দলাল বসু ও যামিনী রায় গ্যালারিতে এই চিত্র প্রদর্শনী চলেছ। আইসিসিআর এবং বাংলাদেশের বেঙ্গল ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এর আয়োজন করে।
চিত্র প্রদর্শনীতে রোকেয়া সুলতানার ৮৫টি চিত্র ও ভাস্কর্য ঠাঁই পেয়েছে। প্রদর্শনী চলবে একটানা ১৪ দিন । এটি শেষ হবে ২০ জুলাই। সর্বসাধারণের জন্য প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এই প্রদর্শনী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকার বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (ডিজি) লুভা নাহিদ চৌধুরী, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, আইসিসিআরের গভর্নিং বডির সদস্য অরিন্দম মুখার্জি, আইসিসিআর কলকাতার পরিচালক পথিবনসহ কলকাতার বিশিষ্ট চিত্রকরেরা।
চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে অধ্যক্ষ ছত্রপতি দত্ত বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যুগ যুগ ধরে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বাংলাদেশের, এই চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে সে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। দুই দেশের সংস্কৃতির বিনিময় আরও দৃঢ় হবে। আমারা এই দুই দেশ সংস্কৃতির ক্ষেত্রে আরও কাছাকাছি আসতে পারব। শক্তিশালী হবে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।’
উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, বাংলাদেশের প্রখ্যাত এক শিল্পীর এই চিত্র প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে আমাদের সংস্কৃতির চলমান ধারা আরও বর্ধিত হবে। বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। দুই দেশের চিত্রশিল্পীরা আরও কাছাকাছি আসবেন। এই চিত্র প্রদর্শনী দুটি দেশের সংস্কৃতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে।
চিত্রশিল্পী রোকেয়া সুলতানা বলেন, ‘আজও আমার হৃদয়কে আমাদের জন্মভিটা পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান তাড়িয়ে বেড়ায়। আমার মা–বাবা ছিলেন বর্ধমানের মানুষ। সেনাবাহিনীতে কর্মসূত্রে বাবা বাংলাদেশে ছিলেন।
রোকেয়া সুলতানা বলেন, ‘মা–বাবার ইচ্ছা ছিল জন্মভিটা বর্ধমানকে দেখার। কিন্তু দেখতে আর পারেননি। মা–বাবার বর্ধমান দেখতে না পাওয়ার স্মৃতি এখনো আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। তাই তো আজ আমি মা–বাবার বর্ধমানের স্মৃতিকে এই প্রদর্শনীতে ঠাঁই দিয়েছি আমার এই বিশাল ক্যানভাসে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকার বেঙ্গল ফাউন্ডেশন প্রকাশিত ‘রোকেয়া সুলতানা’ গ্রন্থটিরও মোড়ক উন্মোচন করেন উপস্থিত অতিথিরা।