সন্দীপ / সমীপ, ধলাই (ত্রিপুরা): গ্রাম স্তরে সরকারি সহায়তার প্রচার নেই, তাই জনপ্রতিনিধিদের একহাত নিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। জনগণকে সরকারের ঢালাও সহায়তা সত্ত্বেও শুধুমাত্র প্রচারের অভাবে সমালোচনা হচ্ছে সর্বত্র। তার জন্য গ্রাম স্তরে জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতাই সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে সাহায্য করছে। শনিবার ধলাই জেলার সালেমা ব্লকের অধীনে জামথুম ভিলেজ কমিটির কার্যালয়ে আয়োজিত বিশেষ গ্রামসভায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে এভাবেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তাঁর দাবি, এডিসি-র উন্নয়ন চাইছি। কিন্তু সহযোগিতা পাচ্ছি না। শুধুমাত্র প্রচারের অভাবে সমালোচিত হচ্ছি, হতাশার সুরে বলেন তিনি।
গ্রাম সভায় ভিলেজ কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের কাছে কেন্দ্রীয় প্রকল্প সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে জনপ্রতিনিধিদের কীর্তি দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় তাঁর। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধি সম্পর্কে অবগত নন ভিলেজ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। অথচ, ওই এলাকায় ৬১৪টি পরিবারের মধ্যে ২৫৮টি পরিবার ওই প্রকল্পে সরকারি আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, নিজ নিজ এলাকায় কত পরিবার রয়েছে, ওই পরিবারে সদস্য কতজন রয়েছেন, সে-বিষয়েও অবগত নন জনপ্রতিনিধিরা। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ পেলেও প্রচারের অভাবে কেউ জানেন না তারা সরকারি সহায়তা পেয়েছেন বলে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে জয়ী হয়ে তাঁদের ভুলে গেলে চলবে না। তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা, প্রয়োজন সম্পর্কে খোঁজ রাখতে হবে। সরকারি সহায়তার প্রয়োজন হলে তার ব্যবস্থা করতে হবে। তেমনি, সরকারি সহায়তা কেউ পেলে তা প্রচারের আলোকে আনতে হবে। উষ্মা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সারা রাজ্যেই সরকারি সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তা সত্ত্বেও ত্রিপুরা সরকার সমালোচিত হচ্ছে। তাঁর সাফ কথা, এডিসি এলাকার উন্নয়ন চাই। তাই, অধিকাংশ সময় এডিসি এলাকায় কাটানোর পরিকল্পনা নিয়েছি। তবে সকলের সহযোগিতা না হলে এডিসি-র উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিষয়টি জনপ্রতিনিধিদের বুঝতে হবে।
এদিন তিনি এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করেছেন, প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে পৌঁছতে হবে। তাঁর ঠিকুজি নিজের কাছে রাখতে হবে। তা না হলে, আগামী ভোটে মানুষ প্রত্যাখ্যান করবেন।





