ত্রিপুরা নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আর এক বছর বাকি রয়েছে। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলি রাজ্যে তাদের উপস্থিতি জানান দিতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি করছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রধান বিরোধী সিপিআইএম আগরতলা আস্তাবল ময়দানে সভা করে নিজেদের উপস্থিতির জানান দেয় রাজ্যবাসীকে। আবার এই পথে হাঁটছে জনজাতি ভিত্তিক দল তিপ্রামথা।
গ্রেটার তিপ্রল্যান্ডের দাবীতে আগামি ১২মার্চ আগরতলার আস্তাবল ময়দানে জনসভা করবে তিপ্রামথা। বুধবার সন্ধ্যায় আগরতলার উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে একথা জানান তিপ্রমথা দলের চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মা। তিনি আরো বলেন এই সভায় সব শ্রেণী পেশা এবং জাতি জনজাতি অংশের মানুষ উপস্থিত থাকবেন এবং এতে শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্বের বিষয়টি প্রমাণিত হবে।
অনেকেই বলেন ত্রিপুরা রাজ্য সবার জন্য নয় তাদের এই কথা যে সত্যি নয় তা প্রমাণিত হবে। এর চার দিন আগে ৮মার্চ আগরতলায় আসছেন বিজেপি নেতা তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, তাঁর সঙ্গে কি জোটের বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা আছে? সাংবাদিকদের করা এই প্রশ্নের উত্তরে প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন বলেন এখানে কোন আলোচনা করবেন না, যদি কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে আলোচন হয় তবে তা হবে দিল্লীতে। কারণ এখানে আলোচনা করা হলে ভুল বার্তা যায় এবং যদি আলোচনা করা হয় তবে তা হবে খোলা মেলা ভাবে, সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকবেন।
তিপ্রামথার নেতারা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পক্ষপাতি নয় বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আর তিপ্রামথা এবং আই পি এফ টি দলের দাবি একই তাই তাথাও যেন একসঙ্গে চলে এসে এক মঞ্চ থেকে জোরদার আওয়াজ তোলার আহ্বান রাখেন। পাশাপাশি রাজ্যে সকল জনজাতি অংশের নেতাদের প্রতি আহ্বান রাখে এক সঙ্গে আসার জন্য। সেই সঙ্গে তিনি আরো জানান নির্ধারিত সময়ে ত্রিপুরা রাজ্যের ভিলেজ কাউন্সিল গুলিতে নির্বাচন না করায় আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন রাজ্যের জনজাতি অংশের মানুষ। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এমনকি আগরতলা পৌরনিগম সহ অন্যান্য পৌর পরিষদ গুলিতে যদি নির্বাচন করা সম্ভব হয় তাহলে ভিলেজ কাউন্সিলের নির্বাচন কেন করানো যাচ্ছে না। আর কিছুদিন তারা এই বিষয় নিয়ে অপেক্ষা করবেন প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন এদিন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ যে ত্রিপুরা রাজ্যের জনজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদ এলাকাকে নিয়ে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড নামে পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি করছে তারা।