ছাঁটাই হওয়া ১০,৩২৩ জন শিক্ষককে ফের নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিল ত্রিপুরা সরকার। আজ সন্ধ্যায় এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়। আইন ও শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ঘোষণা করেন।
রতন লাল নাথ জানান, পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন বিভাগে গ্রুপ ‘সি’ ও গ্রুপ ‘ডি’ পদে এই শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে ছাঁটাই হওয়া শিক্ষকদের অন্যদের প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চাকরি পেতে হবে। তাঁদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বয়সের শর্তটি শিথিল করা হবে।
১০,৩২৩ জন ছাঁটাই হওয়া শিক্ষকের নিয়োগের জন্য আলাদা কোনও প্রক্রিয়া চলবে না; অর্থ বিভাগ কর্তৃক আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে প্রতিবছর দুই হাজার করে হিসেবে আগামী পাঁচ বছর ধরে আমরা দশ হাজার লোককে নিয়োগ দেব; নিয়োগের জন্য একটি ইনস্টিটিউট চালু করা হবে এবং ছাঁটাই হওয়া শিক্ষকদের পাশাপাশি অন্যান্য প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা হবে। ও
ই ১০,৩২৩ জন বয়সের শিথিলযোগ্যতার সুবিধা নিয়ে পরীক্ষায় বসতে পারবেন এবং এভাবে নিযুক্ত কর্মীরা বিভিন্ন ধারার কর্মী বা বহুমুখী কর্মী হিসাবে পরিচিত হবেন; যারা নির্দিষ্ট বেতনে নিয়মিত পদের জন্য নেওয়া পরীক্ষায় সাফল্য অর্জনে ব্যর্থ হবেন তাঁদের আউটসোর্স এজেন্সি দ্বারা নিয়োগ করা হবে বলে নাথ জানান।
অর্থাত্, দাবি মতো, কর্মহীন হয়ে পড়া ১০,৩২৩ জন শিক্ষকের নিযুক্তির তাত্ক্ষণিক কোনও সমাধানসূত্র থাকল না। মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেছেন যে যদি এই পরীক্ষাগুলিতে ওই শিক্ষকরা পাস করতে না পারলে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে তাদের নিয়োগ করা হবে তবে প্রথম পর্যায়ে, এ বছর ২০০০ জনকে নিয়োগ করার আশা কম এবং যে সব ছাঁটিই হওয়া শিক্ষক এর মধ্যে মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারের কী হবে-তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেছিলেন, “আমরা মানবিক দিক থেকে ওই ১০,৩২৩ জন কর্মচ্যূত শিক্ষকের প্রতি দায়বদ্ধ। তাঁর জীবন বাঁচাতে এই বিজেপি সরকারের অধীনে মন্ত্রিসভা একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ত্রিপুরায়, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এই বছর ৩১ মার্চ ১০,৩২৩ জন শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। শিক্ষকরা এখন তাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান দাবি করছেন। রাজ্য ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপি আশ্বাস দিয়েছিল যে তারা মানবিক ভিত্তিতে শিক্ষকদের সমস্যা সমাধান করবে। কিন্তু এখনও শিক্ষকরা বিকল্প কোনো চাকরি পাননি।





