ত্রিপুরা নিউজ ডেস্ক: ২০৪৭ সালে ত্রিপুরায় কি হবে রাজ্যবাসীকে তার স্বপ্ন দেখাচ্ছে বর্তমান সরকার, মানুষ তাদেরকে ৫ বছরের জন্য দায়িত্ব দিয়েছে— এই সময় তারা মানুষের জন্য কি করছে তাও ঠিক করে বলতে পারছে না। সেখানে ২০৪৭ নিয়ে চিন্তা করতে কে বলেছে। এখন ভোট নেই তারপরও প্রধানমন্ত্রীকে ৩০দিনে তিনবার কথা বলতে হয়। পাগলামীরও একটি সীমা থাকা উচিৎ। ত্রিপুরা রাজ্যের বর্তমান সরকারের কাজ কর্ম সম্পর্কে এই মন্তব্য করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার।
প্রয়াত সিপিআই(এম) নেতা সুরেন্দ্র রায়ের স্মরণে এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয় পশ্চিম জেলার বামুটিয়া এলাকায়। এই স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন মানিক সরকার। তিনি আরো বলেন রাজ্যে এখন চরম সঙ্কট চলছে, কাজ নেই খাদ্য নেই। মানুষ অভাবে সন্তান বিক্রি করছে, সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গলের লতাপাতা সংগ্রহ করছেন। কাজের সন্ধানে বর্হি:রাজ্যে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের আর্থিক অবস্থা এতো করুণ যে মৃতদেহ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় পাড়া প্রতিবেশীরা চাঁদা তুলে মৃতদেহ বাড়ি ফিরিয়ে আনছেন।
বিরোধী দলগুলির কন্ঠস্তব্ধ করে রেখে ভোট জালিয়াতি করছে। সংবাদ মাধ্যম তাদের বিপক্ষে কোন কথা বললেই আক্রমণ চালানো হচ্ছে। পুলিশের উপর আক্রমণ চালানো হচ্ছে। এমনকি পাচারকারীদের হাতে একাধিক পুলিশের মৃত্যু হয়েছে কিন্তু কোন বিচার নেই। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, নার্স সবাই এখন অতিষ্ট। ঠিকাদাররা কাজ করিয়ে টাকা পাচ্ছেন না উল্টে তাদের কাছে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে। দুর্নীতির সাগরে ভাসছে সরকার।
মনরেগা, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পূর্ত দপ্তর সহ অন্যান্য দপ্তর এবং সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে। নতুন সরকার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর থেকে চার বছরে কয়েক’শ কোটি টাকার কোনও হিসাব নেই। সর্বত্র লুট চলছে। শাসক দলের রাজ্য নেতা, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এই কেলেঙ্কারির অর্থে আনন্দ উল্লাসে ব্যস্ত। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মুখে স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত রাজ্যের গালভরা ভাষণ দিলেও খোদ তার দপ্তরে টিএসআর নিয়োগ নিয়ে স্বজনপোষণ ও কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে।