ত্রিপুরা নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরার কুইন আনারস ছাড়াও রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন ফসল ও খাবারের জি আই ট্যাগ প্রদানের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে ডোনার মন্ত্রকের অধীনস্ত নেরাম্যাক আয়োজিত কুইন আনারসের জিআই ট্যাগিং ব্যবহারের অনুমোদন প্রদানের অনুষ্ঠানে একথা বলেন কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ।
এদিন কৃষিমন্ত্রী ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই ট্যাগ সম্পর্কে বলেন, প্রাকৃতিক ভাবে উৎপন্ন বা মনুষ্যসৃষ্ট যে পণ্যগুলোর খ্যাতি রয়েছে সেগুলোকেই এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের কৃষকদের মানোন্নয়ন ও উপার্জন বৃদ্ধির লক্ষ্যে যেভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা অভূতপূর্ব। ত্রিপুরার কুইন আনারস ছাড়াও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১৩টি পণ্যের জন্য জিআই ট্যাগের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।
তাঁর দাবি, কৃষির দীর্ঘস্থায়িত্ব, কৃষকদের অধিকার রক্ষা এবং দেশের কৃষিজাত পণ্যের রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার জিআই ট্যাগের উদ্যোগ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রচেষ্টাকে ত্রিপুরার কৃষকরা বিশেষভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের ফসলের বিমার সুযোগ থেকে শুরু করে কৃষি রেল, কৃষির সরঞ্জাম প্রদান সহ নানা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ত্রিপুরা সরকারও কাজ করে চলেছে বলে জানান তিনি।
তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, ত্রিপুরার কুইন আনারস ছাড়াও রাজ্যে নানা রকম ঐতিহ্যবাহী ফসল, খাবারের জি.আই ট্যাগের সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলো নিয়েও ভবিষ্যতে কিছু কাজ হয়, তার জন্য রাজ্য সরকার প্রচেষ্টা গ্রহণ করবে।
এদিন অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার ৩০০ জন আনারস চাষিকে নেরাম্যাকের প্রক্রিয়াকৃত শংসাপত্রের জিআই ট্যাগিং (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন) ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।





