নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা: কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ত্রিপুরায় আগরতলা পুর নিগম সহ ১১টি পুর পরিষদ এলাকায় করোনা কারফিউ জারি থাকবে ২৬ জুন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত। এছাড়া, অন্যত্র সংশ্লিষ্ট জেলা শাসক প্রয়োজন বোধে কারফিউ জারি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, আগরতলা পুর নিগম এলাকায় যথারীতি করোনা কারফিউর সময়সীমা বৃদ্ধি হয়েছে। তেমনি, কয়েকটি পুর পরিষদ নতুন করে কারফিউর আওতায় যুক্ত হয়েছে। দুইটি পুর পরিষদ এলাকায় কারফিউর সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় ত্রিপুরায় এখন থেকে শুধু পুর নিগম এলাকা সহ ১১টি পুর পরিষদ এলাকায় দিবারাত্র কারফিউয়ের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। তবে ওই এলাকায় কারফিউয়ের বিধিনিষেধে আগের মতই শিথিলতা হয়েছে। পূর্বের আদেশ অনুযায়ী ১৯ জুন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত আগরতলা পুর নিগম সহ তিনটি পুর পরিষদ এবং দুইটি নগর পঞ্চায়েত এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছিল। নতুন আদেশ মেনে পুর নিগম ও ১১টি পুর পরিষদ এলাকায় ১৯ জুন থেকে ২৬ জুন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। অন্যত্র ১৯ জুন ভোর পাঁচটার পর প্রত্যাহার করা হচ্ছে করোনা কারফিউ। তবে, জেলাশাসকরা প্রয়োজন বোধে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কারফিউ জারি করতে পারবেন। পাশাপাশি, আন্তঃজেলা যাতায়াতেও বিধি নিষেধ না থাকলেও করোনা কারফিউ এলাকায় যাতায়াতে ২৫ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ বলবত্ থাকবে।
নয়া ফরমান অনুসারে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আগরতলা পুর নিগম, মোহনপুর পুর পরিষদ, রানীরবাজার পুর পরিষদ, জিরানিয়া পুর পরিষদ, উদয়পুর পুর পরিষদ, বিশালগড় পুর পরিষদ, কুমারঘাট পুর পরিষদ, কৈলাসহর পুর পরিষদ, পানিসাগর পুর পরিষদ, খোয়াই পুর পরিষদ, বিলোনিয়া পুর পরিষদ এবং শান্তিরবাজার পুর পরিষদ এলাকায় করোনা কারফিউ ২৬ জুন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত বলবত্ থাকবে। তাতে, আগরতলা পুর নিগম এবং কুমারঘাট ও বিলোনিয়া পুর পরিষদ এলাকায় করোনা কারফিউর সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে কিছু শিথিলতা রয়েছে এই আদেশেও। কারফিউ এলাকায় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দোকানপাট, বাজার খোলা থাকবে। তবে, জিম, শপিং মল, সিনেমা হল, সুইমিং পুল, বিউটি পার্লার, সেলুন, পার্ক বন্ধ থাকবে। তেমনি, ধাবা ও রেস্টুরেন্ট দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি রয়েছে। ওই এলাকা বাদে সারা ত্রিপুরায় ১৯ জুন ভোর পাঁচটা থেকে করোনা কারফিউ জারি থাকবে না। সেখানে যথারীতি সমস্ত কিছু স্বাভাবিকভাবে খোলা থাকবে। কিন্তু জেলাশাসক প্রয়োজন বোধে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কারফিউ জারি করতে পারবেন। মূলত, করোনা কারফিউ জারি এলাকায় পূর্বের মতোই বিধিনিষেধে ছাড় রয়েছে।