ত্রিপুরা নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরায় আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার থাবা বসিয়েছে। প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তর বহি:রাজ্যে থেকে রাজ্যে ও রাজ্যের অভ্যন্তরে শূকর পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের বিশেষ সচিব ও অধিকর্তা কে শশীকুমার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সংবাদ জানিয়ে বলেন, শূকর পালনকারীদের কল্যাণে ও শূকরের মধ্যে সংক্রমণ প্রতিরোধে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ত্রিপুরা সরকারের প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অনুমোদন ছাড়া কোনও জীবিত বা মৃত শূকর বহি:রাজ্য থেকে রাজ্যে আনা যাবে না। বাইরে থেকে শূকর পরিবহণকারী একমাত্র সেই গাড়ি বা রেলে কনসাইনমেন্টকে রাজ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে যেগুলি প্রিভেনশন অব ক্রুয়েল্টি টু অ্যানিমেলস অ্যাক্ট ১৯৬০-এর প্রাণী পরিবহণের রুলস ২০০১-এর ১৬ রুল ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিজার মেনে প্রবেশ করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সেক্ষেত্রে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের আধিকারিকরা বাইরে থেকে আমদানিকৃত শুকরগুলির প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য ও টিকা সংক্রান্ত অবস্থা যাচাই করবেন। সেজন্য প্রবেশ দ্বারে শূকর বোঝাই কনসাইনমেন্ট পৌঁছানোর কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা আগে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধিকর্তাকে জানাতে হবে। শূকর পালন ছাড়া বাণিজ্যিক কারণে মাংস বিক্রির জন্যও বাইরে থেকে শূকর আনা যাবে না।
তাছাড়া যে স্থানে সেই শূকর যাবে সেখানে আমদানিকারী তার নিজের খরচে শূকরের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবেন প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের আগাম অবগতির ভিত্তিতে। তাছাড়া রাজ্যের প্রবেশ দ্বারে যদি কোনও বেআইনি । অসুস্থ কনসাইনমেন্ট পাওয়া যায় তাহলে শূকরের কনসাইনমেন্ট রাজ্য থেকে সরিয়ে নেওয়ার একমাত্র দায়িত্ব থাকবে আমদানিকারীর। অন্যথায় তাকে নিজের খরচে চলতি রোগ প্রতিরোধক আইন অনুযায়ী সেই শূকরগুলির সুষ্ঠু নিষ্পত্তি করতে হবে।