ত্রিপুরা নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শপথ নিলেন রাজ্যের নবনির্বাচিত বিধায়করা। এদিন ত্রিপুরার রাজধানীর ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স এলাকার বিধানসভা ভবনের লবিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সবার প্রথমে শপথ নেন ৫৭নং যুবরাজ নগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা মলিনা দেবনাথ, এরপর শপথ নেন ৪৬নং সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা স্বপ্না দাস পাল। সবশেষে শপথ নেন ৬নং আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।
তাঁদেরকে শপথ বাক্য পাঠ করান বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী। এই সময় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহাসহ অন্যান্য মন্ত্রী বিধায়ক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এদিন নিজের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে খুব ভালো লাগছে। তবে তিনি এদিন শপথ নেননি, কিছু আইনি বিষয়ে রয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখে তিনি শপথ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
শপথগ্রহণ শেষে বিধানসভা ভবনে প্রথম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বিধায়িকা মলিনা দেবনাথ বলেন যুবরাজ নগরের উন্নয়ন করাই তাঁর প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য। তাই অন্যান্য মন্ত্রী বিধায়কদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উন্নয়ন করতে চাননি বিধানসভা কেন্দ্রের।
অপরদিকে সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা স্বপ্না দাস নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন বিজেপির কার্যকর্তা হিসেবে বিধানসভায় প্রবেশ করতে পেরেছেন। তাই তিনি দলের অন্য সকল কার্যকর্তা এবং প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছেন। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী যেমন শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ার ডাক দিয়েছেন ঠিক তেমনি তিনি শ্রেষ্ঠ সুরমা গড়তে চান বলেও জানিয়েছেন।
অপরদিকে কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন শপথ গ্রহণের পর জানান সাধারণ মানুষের হয়ে বিধানসভায় তিনি কথা বলবেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত মন্ত্রী বিধায়ক এবং বিশিষ্টজনেরা নবনির্বাচিত বিধায়কদের অভিনন্দন জানান। এদিন অন্যান্য বিধায়কদের সঙ্গে কেন মুখ্যমন্ত্রী তথা নবনির্বাচিত বিধায়ক অধ্যাপক ডা মানিক সাহা শপথ নিতে পারেননি এই বিষয়টি স্পষ্ট করলেন অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী।
তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী এখনো রাজ্যসভার সাংসদ। একসঙ্গে তিনি দুটি দায়িত্ব নিজের কাছে রাখতে পারবেন না। তাই দলীয় হাই কমান্ডের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।