সন্দীপ / সমীপ, আগরতলা: নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় দেশের হাইকোর্টগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ত্রিপুরা হাইকোর্টের উপরেও যে সাংবিধানিক দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে তা অত্যন্ত নিষ্ঠা সহকারে সে দায়িত্ব সামলাচ্ছে। আজ সন্ধ্যায় ত্রিপুরা হাইকোর্টের অষ্টম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে রাজ্যপাল রমেশ বৈস এ-কথা বলেন। তিনি বলেন, অষ্টম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ন্যায় সম্মেলন রাজ্যের বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্টদের আত্মচিন্তনের সুযোগ এনে দিয়েছে। এটা গর্বের বিষয় যে ত্রিপুরা হাইকোর্ট উত্কৃষ্ট ন্যায় প্রদানে নিরন্তর প্রয়াস জারি রেখেছে।
অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল আরও বলেন, গত বছর করোনা অতিমারির সময়ও ত্রিপুরা হাইকোর্ট আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রদান জারি রেখেছিল। বিচার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই জরুরি। ত্রিপুরা হাইকোর্টও ন্যায় বিচার প্রদানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। রাজ্যপাল বৈস বলেন, নাগরিকদের ন্যায় বিচার প্রদানে রাজ্য সরকারও হাইকোর্টকে সর্বোতভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। রাজ্যের বিচার ব্যবস্থাকে দৃঢ় ও শক্তিশালী করার বিষয়ে রাজ্য সরকার যথেষ্ঠ সচেষ্ট। রাজ্যের প্রতিটি নাগরিক যাতে সঠিক বিচার পেতে পারেন সেই জন্য বিচার ব্যবস্থার পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্য সরকার কাজ করছে।
ত্রিপুরা হাইকোর্টের অষ্টম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ, ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আকিল কুরেশি, ওড়িশা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ড. এস মুরলীধর, ত্রিপুরা হাইকোর্টের বিচারক শুভাশিস তলাপাত্র ও অরিন্দম লোধ, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থ শংকর দে, বার কাউন্সিল অব ত্রিপুরার চেয়ারম্যান আইনজীবী পি কে ধর, ত্রিপুরা হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আইনজীবী শংকর কুমার দেব প্রমুখ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও নৃত্যশিল্পীগণ অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।