১৫২টি কেন্দ্রে ৩০৪ জন টিকা প্রদানকারী সহ ৯৮০ জন নিয়োজিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে
সন্দীপ / কাকলি, আগরতলা: স্বস্তির মুহুর্তের অপেক্ষায় গোটা দেশ। ১৬ জানুয়ারী সারা দেশের সাথে ত্রিপুরায় প্রথম পর্যায়ের করোনা-র টিকাকরণ হবে। ১৫২টি টিকা কেন্দ্রে ৩০৪ জন টিকা প্রদানকারী সহ মোট ৯৮০ জনের দল নিয়ে প্রস্তুত ত্রিপুরাও। বিশেষ টিকাকরণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত আগরতলা টাউন হল-এ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার ত্রিপুরায় এই ঐতিহাসিক কর্মসূচির সূচনা করবেন। প্রথম ধাপে স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ-কে টিকা দেওয়া হবে।
এ-বিষয়ে আজ সন্ধ্যায় সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, প্রথম ধাপে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে ত্রিপুরা ৫৬৫০০ করোনা-র টিকা পেয়েছে। তার মধ্যে ৫৫৮২০ টিকা সারা ত্রিপুরায় সরবরাহ করা হয়েছে। তাঁর কথায়, পশ্চিম জেলায় ১৭৫০০, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৫৭২০, ঊনকোটি জেলায় ৩২৫০, ধলাই জেলায় ৬৩০০, খোয়াই জেলায় ৪৬৯০, সিপাহীজলা জেলায় ৫৬০০, গোমতী জেলায় ৬২৫০ এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ৬৫১০ করোনা-র টিকা ইতিমধ্যে পৌছে গেছে। আগামী ১৬ জানুয়ারী ওই টিকা প্রদান করা হবে।
তিনি জানান, সারা ত্রিপুরায় ১৫২টি টিকাকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ১৭টি বিশেষ টিকাকরণ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কেন্দ্র হল আগরতলা টাউন হল। তিনি বলেন, ১৭টি টিকাকরণ কেন্দ্রের উদ্বোধন হবে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আগরতলা টাউন হল-এ টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করবেন। তাঁর কথায়, ১৬ জানুয়ারি ৩০৪ জন টিকা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকবেন। তাদের সহ পুলিশ ও অন্যান্যদের নিয়ে মোট ৯৮০ জন করোনা-র টিকাকরণ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নে নিয়োজিত থাকবেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় বর্তমানে ৪৫৪৩২ জন স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ স্বাস্থ্য কর্মী-কে প্রথম ধাপে টিকা দেওয়া হবে। বাকিদের পরবর্তী ধাপে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের সকলকে এখনই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, কারণ প্রথম টিকা দেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় টিকা দিতে হবে। সে-ক্ষেত্রে যে পরিমান টিকা এসেছে তাতে সকল স্বাস্থ্য কর্মী-কে একসাথে টিকাকরণ সম্ভব হচ্ছে না। এদিন তিনি জানান, দ্বিতীয় ধাপে পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ান, আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান, পুর কর্মী এবং রাজস্ব দফতরের কর্মীদের করোনা-র টিকা দেওয়া হবে।