ত্রিপুরা প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া: তেলিয়ামুড়া মহাকুমার কল্যাণপুর, তেলিয়ামুড়া, মুঙ্গিয়াকামি ব্লকে বেশ কয়েকটি গ্রামে বন্যহাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে গ্রামবাসীরা৷ বন্যহাতির তাণ্ডবে অনেকের হারাতে হয়েছে ঘরবাড়িসহ প্রাণ৷ এই বন্যহাতির তাণ্ডব থেকে গোটা তেলিয়ামুড়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকাকে রক্ষা করতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় তেলিয়ামুড়া ব্লকের কনফারেন্স হল গৃহে৷
বন্য হাতি তাড়ানোর জন্য নেওয়া হয় কয়েকটি পদক্ষেপ৷ তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীনস্থ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বণ্য দাঁতাল হাতির সমস্যা যেন এক অভিশাপের রূপ নিয়েছে৷ আর এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে খোয়াই জেলা শাসক স্মিতা মলের পৌরহিত্যে বিভিন্ন লাইন ডিপার্টমেন্টের কর্মীদের নিয়ে তেলিয়ামুড়া আর.ডি ব্লকের কনফারেন্স হলে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বুধবার৷
এদিনের এই বৈঠকে জেলাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসক মোহাম্মদ সাজ্জাদ পি, জেলা বন আধিকারিক নিরাজ কুমার চঞ্চল, তেলিয়ামুড়া আর.ডি ব্লকের বিডিও শান্তনু বিকাশ দাস , পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান যমুনা দাস, ভাইস চেয়ারম্যান অপু গোপ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন৷ বৈঠকে আলোচনা হয় কিভাবে এলাকাবাসীদের বন্যহাতির তাণ্ডব থেকে রক্ষা করা যায়৷ দীর্ঘ প্রায় দুই ঘন্টা যাবৎ চলে এদিনের এই বৈঠক৷
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে খোয়াই জেলা শাসক স্মিতা মৌল জানান,, তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীন বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বণ্য দাঁতাল হাতির সমস্যা নিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল সকল লাইন ডিপার্টমেন্টের কর্মীদের নিয়ে৷ সেই বৈঠক শেষে কি প্রতিক্রিয়া হয়েছে তা নিয়েই আজ এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ তাছাড়া প্রায় প্রত্যেক দিন বন্যহাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বহু মানুষজন৷ সরকার আপনাদের সমস্যাগুলো বুঝছে, কাজেই হাতির সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাতি তাড়ানোর জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান৷ এছাড়া তিনি আরো বলেন হাতির তাণ্ডব থেকে গ্রামবাসীদের রক্ষা করার জন্য স্থায়ীভাবে একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে৷