ত্রিপুরা নিউজ ডেস্ক: আগরতলা স্থলবন্দরে ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য আগরতলা বিমানবন্দর পর্যন্ত শ্যাটেল কার পরিষেবা চালু হয়েছে। আজ এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই পরিষেবা চালু করেছেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মহম্মদ।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৩ সালের ১৭ ই নভেম্বর প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তর- পূর্বাঞ্চলের প্রথম এবং ভারতের দ্বিতীয় ল্যান্ড পোর্ট আগরতলা- আখাউড়ার যাত্রা শুরু হয়েছিল। যা ১০ বছর পূর্ণ করে ১১ বছরে পা দিল। ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ আখাউড়া ল্যান্ড পোর্টে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামনগর এলাকার বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত, বাংলাদেশ সহকারি হাই কমিশনের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মহম্মদ সহ অন্যান্যরা।
আজকের এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের যাত্রীদের সুবিধার্থে আখাউড়া বর্ডার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত শ্যাটেল সার্ভিসের সূচনা করেছেন মেয়র দীপক মজুমদার। যার সাহায্যে বাংলাদেশের যাত্রীরা খুব কম খরচেই আগরতলা বিমানবন্দর পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারবে। পাশাপাশি এদিন বিএসএফ জওয়ানরা একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন
এদিন মেয়র বলেন, ১০ বছর পূর্বে বছরে ৩০ হাজার লোক বাংলাদেশ থেকে ভারতবর্ষে এবং ভারত বর্ষ থেকে বাংলাদেশে যাতায়াত করতেন। এখন এক মাসে প্রায় ৪০ হাজার লোক যাতায়াত করেন। পরিষেবার উন্নতি হয়েছে সেজন্যই এত সংখ্যক লোক এই পোর্টের মাধ্যমে যাতায়াত করেন বলে দাবি করেন তিনি।
তাঁর কথায়, ত্রিপুরার বিমান পরিষেবা বাংলাদেশের যাত্রীদের উপর অনেকাংশই নির্ভরশীল। প্রায় ৫০ শতাংশ যাত্রী বাংলাদেশের থাকে প্রতিটি বিমানে। ফলে বাণিজ্যিক ও আর্থিকভাবে ত্রিপুরাবাসী উপকৃত হচ্ছেন।
এদিন তিনি আরও বলেন, বিগত ১০ বছর ধরে পোর্টের পক্ষ থেকে বাংলাদেশী যাত্রীদের সুবিধা দিতে এবং দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সুষ্ঠ ও সুদৃঢ় করতে বিভিন্ন পরিষেবা চালু করা হয়েছে। যাত্রী চলাচল এবং আমদানী রপ্তানী বানিজ্য বৃদ্ধির সঙ্গে মানোন্নয়ন ঘটেছে পোর্টের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত মানুষের জীবনে। বাংলাদেশের যাত্রীরা প্রত্যেকদিন ভারতের বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার জন্য এই ল্যান্ড পোর্টকে ব্যবহার করেন।
এদিন তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, আগামীতেও ল্যান্ড পোর্টের সৌন্দর্যায়ন এবং যাত্রীদের জন্য ক্যাফেটেরিয়া সহ বহুমুখী পরিষেবা এবং বিনোদন ব্যবস্থার উন্নয়নের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে।