ত্রিপুরা নিউজ ডেস্ক: “যতদিন আমি মন্ত্রী থাকবো ততদিন তাদের জন্যে বিকল্প ব্যবস্থার চেষ্টা করে যাবো” – বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিরোধী বেঞ্চের বিধায়ক সুধন দাসের ১০৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষক সম্পর্কিত আনা প্রশ্নের জবাবে এমনটাই বললেন ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ। এদিন বিধায়ক সুধন দাস তাঁর প্রশ্নে সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত ” মৃত্যু মিছিলে আরও ১০,৩২৩শিক্ষিকা ” – শীর্ষ সংবাদের উপর শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং ১০,৩২৩শিক্ষক শিক্ষিকার জন্য কি করেছে রাজ্য সরকার বলে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন।
এই প্রশ্নের জবাবে ট্রেজারি বেঞ্চের বিধায়করা তৎকালীন বাম সরকারের পাপের ফল ১০,৩২৩ বলে হৈচৈ শুরু করেন। বিধায়ক বিনয় ভূষণ দাস বলেন, ১০,৩২৩ এই প্রসঙ্গ বারবার তুলবেন না। এমন বললে তাদের অপরাধী মনে হয়, যদিও অপরাধ তাদের নয়। নিয়োগ নীতিতে গলদ করছে তৎকালীন বাম সরকার।বিধায়ক সুধন দাস এর প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন তৎকালীন বিধায়কদের কোন দোষ নেই কারণ তাঁরা মানিক বাবুর উপর নির্ভরশীল ছিলেন।
আর মানিকবাবুর চূড়ান্ত দাম্ভিকতা , অহংকার এবং একগুয়েমির কারণেই সৃষ্টি হয়েছে ১০,৩২৩ এর। এখনো কমেনি উনার অহংকার ।আর এখন নিজেদের এই পাপের বোঝা বর্তমান সরকারের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছে বিরোধীরা। রাজ্যের সরকার সর্বতো ভাবে চাইছে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের বিকল্প ব্যবস্থা করার। কিন্তু বিগত সরকারের নিয়োগ নীতি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ভুল থাকায় বর্তমান সরকার কিছু করে উঠতে পারছে না। সবশেষে আবারো ট্রেজারি বেঞ্চের তরফে বলা হয় যে তারা সর্বতোভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই সকল চাকরিচ্যুতদের যাতে আবার চাকরিতে নিয়োগ করা যায়।





