নীতীশ সরকারের আমলে ২০১৬ সালের এপ্রিল থেকে বিহারে মদ্যপান এবং বিক্রি দুই-ই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে সেই রাজ্যে কোথা থেকে তাঁরা মদ পেলেন সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিহার নিউজ ডেস্ক: মদশূন্য বিহারে আইনের রক্ষাকর্তাদের হাতেই বোতল। সঙ্গী বিচারাধীন বন্দি। স্থান খোদ রাজধানী শহরের একটি থানা।
বিহারে ৭ বছর আগে সব ধরনের মদ বিক্রির ব্যবসা এবং মদ্যপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হলেও, বৃহস্পতিবার পটনার পলিগঞ্জ থানার হাজতের মধ্যে ৭ ব্যক্তিকে একসঙ্গে মদ্যপান করতে দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, তাঁদের মধ্যে ৫ জন অভিযুক্ত এবং ২ জন কনস্টেবল। বৃহস্পতিবার আবগারি বিভাগ ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পলিগঞ্জ থানার হাজতেই তাঁদের রাখা হয়। সেই রাতেই ওই ৫ অভিযুক্ত এবং ২ কনস্টেবল থানার মধ্যে মদের আসর বসান। এলাকার এসডিপিও বলেন, “মদের আসরের কথা আমাদের কানে আগেও এসেছিল, তার সত্যতা যাচাই করার জন্য আমরা সেখানে হঠাৎ যাই এবং দেখি তাঁরা প্রত্যেকে মদ্যপান করছেন।” তবে এখনও তাঁদের কাছে স্পষ্ট নয়, ওঁদের কাছে মদ এল কী ভাবে, যেখানে বিহারে মদের বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ।
নীতীশ সরকারের আমলে, মহিলাদের উপর্যুপরি অভিযোগের পর ২০১৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে বিহারে মদের বিক্রি এবং মদ্যপান দুই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে সেই রাজ্যে কোথা থেকে তাঁরা মদ পেলেন সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হাজতের মধ্যে কনস্টেবলের সঙ্গে অভিযুক্তদের মদ্যপানের ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।