ত্রিপুরা নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের জন্মতিথি। এই উপলক্ষে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এদিন রাজধানী আগরতলা নজরুল কলাক্ষেত্রে বিদ্রোহী কবির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে।
এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড: অরুণোদয় সাহা, তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড: পিকে গোয়েল প্রমূখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত অতিথিরা বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সী শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম ভারত এবং বাংলাদেশের সমানভাবে জনপ্রিয়। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি ত্রিপুরাতেও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে বিদ্রোহী কবির ১২৩ তম জন্মদিন উদযাপন করা হচ্ছে। ভারত ও বাংলাদেশকে সাহিত্যের এবং সংস্কৃতির দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুল ইসলামকে মানুষ সমান আসনে বসিয়েছেন। এই দুই মহান ভাবধারাকে আগামীদিনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান রাখেন মন্ত্রী। কদিন আগে সারা রাজ্য জুড়ে ঘটা করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মতিথি উদযাপন করা হয়েছে ঠিক একইভাবে এদিন প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে নজরুল জয়ন্তী উদযাপন করা হচ্ছে।
সংস্কৃতি কবিতা না থাকলে সাহিত্য না থাকলে মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য রবীন্দ্র এবং নজরুল যে দিশা দেখিয়েছিলেন তা ভারত এবং বাংলাদেশের মানুষ মাথা পেতে গ্রহণ করে এগিয়ে চলছেন। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা অগ্নিবীণা, নজরুল স্মৃতি মঞ্চ সহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংস্থার উদ্যোগে সারা রাজ্যব্যাপী নজরুল জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হচ্ছে।