ত্রিপুরা নিউজ ডেস্ক: শনিবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তেজনা বিরাজ করে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগরতলা শহর জুড়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। শহরে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ এবং আধাসেনা জওয়ান।
বিকেলে আগরতলার বনমালীপুর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনার পর রাতে প্রদেশ বিজেপির তরফে শহরে একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। এই মিছিলটি শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে কংগ্রেস ভবনের সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মিছিলের উপর আক্রমণ সংঘটিত করে বলে তাদের অভিযোগ। মুহূর্তের মধ্যে এই জায়গাটিতে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় উভয় দলের কর্মী-সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। বাধ্য হয়ে পুলিশ একাধিক কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থকদেরকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয় পুলিশ। এই সময় ইটের আঘাতে আহত হয় বিশ্বনাথ চক্রবর্তী নামে এক চিত্র সাংবাদিক। তার মাথা ফেটে রক্ত বের হয়। এই ঘটনা আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র তথা বিজেপি নেতা দীপক মজুমদারের সামনে ঘটলেও তিনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দৃশ্য উপভোগ করেন সহায়তার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসেননি।
ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি’র মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য অভিযোগ করে বলেন মিছিলের উপর কংগ্রেস ভবন থেকে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে তাদের লক্ষ্য করে। এই ঘটনায় একাধিক নেতা কর্মী আহত হয়েছেন।অপরদিকে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহা অভিযোগ করেন তাদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী। ইট পাটকেল এবং লাঠির পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এই আক্রমণে সুদীপ রায় বর্মন প্রচন্ড ভাবে আঘাত পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।
সুদীপ রায় বর্মনের উপর আক্রমণের বিষয়ে বিজেপি নেতা তথা মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অনেকটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং উল্টে সংবাদমাধ্যমকে জ্ঞান দিতে থাকেন কি প্রশ্ন করা উচিত এবং কি প্রশ্ন করা উচিত নয়। পশ্চিম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ দাস রাতে জানিয়েছেন প্রথমিক তদন্তে তারা জানতে পেরেছন কংগ্রেস ভবন থেকে পেট্রোল বোম মারা হয়েছে। মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।