রাস্তার বেহাল দশা৷ গ্রামীনে রাস্তাটির মধ্যে বড় বড় গর্ত৷ বর্ষার সময় জল জমে থাকে৷ প্রচন্ড পিচ্ছিল এবং কর্দমাক্ত রাস্তা৷ বর্ষার সময় এই গ্রামীণ রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়া বরই কষ্টসাধ্য ব্যাপার৷ এলাকার বহু মানুষ বর্ষার সময়ে পিচ্ছিল খেয়ে পড়ে হাতে পায়ে কোমরে ব্যথা পেয়েছে৷ বিগত সরকার ২৫ বছরেও রাস্তাটির উন্নয়নে কোনরকম চেষ্টা করেনি এবং উদ্যোগও ছিলনা বলে জানান এলাকার প্রবীণ নাগরিক সাধন দাস৷ উনি বলেন চেচুড়ী মাই গ্রাম পঞ্চায়েতের সিলেটিয়ামুড়া থালা ভাঙ্গা এলাকার গ্রামীণ রাস্তাটি র অবস্থা বড়ই খারাপ৷ এই রাস্তাটির শেষ লগ্ণ থেকে শুরু হয়েছে চেচুড়ী মাই গ্রামের সবচেয়ে বড় কৃষি প্রধান এলাকা থালাভাঙ্গা এলাকার পাতা সবজির মাঠ৷ এই বিশাল মাঠে শত শত কৃষকের জমি রয়েছে৷
ঢ়েরস কুমড়ো উস্তে করলে ঝিঙ্গে আলু টমেটো বেগুন কাঁচা লঙ্কা লাউ সহ ধানের চাষ হয়৷ এই বিশাল পরিমাণ সবজির মাঠে ট্রাক্টর নামাতে গিয়ে একমাত্র রাস্তা হল এই গ্রামীণ রাস্তাটি৷ বর্ষার সময় এই সবজি মাঠে এই রাস্তাটি ধরে ট্রাক্টর নামাতে গিয়ে ভীষণ সমস্যার মধ্যে পড়ে কৃষকরা৷ যখন ঐ কোন কৃষক এই সবজি মাঠে ট্রাকটার নামাতে যায় এ রাস্তা দিয়ে তখন কম করেও এলাকার ৫ থেকে ৭ জন মিলে ধরে আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে ট্রাক্টর নামাতে হয়৷ কারণ যে কোন সময় ট্রাক্টর উল্টে যেতে পারে বলে জানান ট্রাক্টর চালকগণ৷ ভীষণ খারাপ রাস্তাটি৷ হেঁটে যেতেই কষ্ট হয়৷ ট্রাক্টর জমিতে নামাতে গেলে বুক ধড়পড় করে কাঁদতে শুরু করে এত খারাপ রাস্তাটি এমনটাই জানিয়েছেন এলাকার কৃষক সাধন দাস কালীপদ দাস সহ আরো অনেকে৷ তাদের অভিযোগ নতুন সরকার অল্প কয়দিন হয়েছে ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু উদ্যোগ নিয়েছে রাস্তাটি করার জন্য কিন্তু বিগত সরকার বিগত ২৫ বছরে এই রাস্তাটিতে একটি ইট বসায় নি এমনটাই অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী৷
তাদের দাবি অতি দ্রুত যাতে রাস্তাটি ব্রিক সলিং এ রুপান্তরিত করা হয়৷ না হলে বর্ষার সময় থালা ভাঙ্গা এলাকায় বিশাল পরিমাণ পাতা সবজির মাঠ ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করাতে গিয়ে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় কৃষকদের৷ তবে এলাকাবাসী কেউ কেউ জানিয়েছেন অতি দ্রুত নাকি চেচুড়ী মাই গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে রাস্তাটিতে কাজ শুরু হবে আবার কেউ কেউ বলেছেন আগে শুরু হোক তারপর বলবেন কারণ বিগত ২৫ বছরেও রাস্তাটিতে কোন কাজ হয়নি৷





