রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় কমায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর কিছুটা চাপ তৈরি হওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম। তবে তিনি বলেছেন, এই চাপ থাকবে না। আশা করছি, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়বে।
সিরাজুল ইসলাম গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের বলেন, বৈশ্বিক সংকটের কারণে ডলারের বাজার চরম অস্থিতিশীল।
শুধু বাংলাদেশে নয়, পাশের দেশগুলোতেও বেড়েছে ডলারের দাম। দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে বাংলাদেশের বাজারের চেয়েও ডলারের বাজার চড়া। এতে বাংলাদেশও কিছুটা চাপে আছে।
টানা ১৩ মাস পর দেশে গত মাসে (সেপ্টেম্বর) রপ্তানি আয়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অন্যদিকে একই মাসে বৈধ চ্যানেলে প্রবাস আয় (রেমিট্যান্স) এসেছে সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই দুই সূচকে নেতিবাচক ধারার কারণে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ নেমেছে ৩৬ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। গত রবিবার দিনশেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৬.৩০ বিলিয়ন ডলার।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডলার বিক্রিতে রিজার্ভ কমেছে, এটা সত্য। কিন্তু রিজার্ভ তো বিভিন্ন কাজে লাগাতে হবে। এটা বাড়বে-কমবে, তা স্বাভাবিক। এক জায়গায় যে রিজার্ভ স্টেবল রাখতে হবে এমনও না। আবার রিজার্ভ থেকে ইডিএফ ফান্ডে যে ঋণ দেওয়া হয়েছে, তার উদ্দেশ্য সঠিক ছিল। এটার টাকা নিয়ে যদি কেউ ফেরত না দেয়, সে ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে।
আরো সাত প্রতিষ্ঠান সিলগালা
ডলারের কারসাজির অভিযোগে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ আরো সাত প্রতিষ্ঠান সিলগালা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো নাইটিংগেল, কেএমসি, মেগাসিটি, শেখ, খান অ্যান্ড চৌধুরি, এজে ও কুইক মানি এক্সচেঞ্জ।