ত্রিপুরা প্রতিনিধি, আগরতলা: রেলপথে ত্রিপুরার সাথে জুড়ছে মণিপুর। আগামীকাল আগরতলা-জিরিবাম জনশতাব্দী এক্সপ্রেসের সূচনা করবেন রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আগরতলা থেকে জিরিবামের দুরত্ব মাত্র ছয় ঘন্টায় অতিক্রম করবে জনশতাব্দী এক্সপ্রেস। পথে পাঁচটি স্টেশনে বাণিজ্যিক স্টপেজ দেবে। ওই ট্রেনে মোট ১০টি কামরা থাকবে। ২টি এসি, ৬টি নন-এসি এবং ২টি সাধারণ শ্রেনীর কামরা থাকবে ট্রেনে।
গতকালই পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক গুনিত কৌর জানিয়েছিলেন, জিরিবাম-আগরতলা রেল পরিসেবা চালু করার প্রস্তাব রেল বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে শীঘ্রই অনুমোদন মিলবে। অনুমোদন মিললে ওই রুটে রেল পরিষেবা শুরু করা হবে।
আজ তিনি জানান, আগরতলা-জিরিবাম রেল পরিসেবা শুরু করার জন্য রেল বোর্ড থেকে অনুমোদন এসেছে। আগামীকাল দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সে রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দুপুর ২টায় ১২০৯৭ আগরতলা-জিরিবাম জনশতাব্দী এক্সপ্রেস এবং ১২০৯৮ জিরিবাম-আগরতলা জনশতাব্দী এক্সপ্রেসের সূচনা করবেন। ওই অনুষ্ঠানে আগরতলা থেকে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, পরিবহণ মন্ত্রী প্রণজিত সিংহ রায়, কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, রাজ্যসভার সাংসদ ঝর্না দাস বৈদ্য এবং স্থানীয় বিধায়ক মিমি মজুমদার। মণিপুর থেকে উপস্থিত থাকবে মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিংহ, কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী ড. রাজকুমার রঞ্জন সিংহ, পরিবহণ মন্ত্রী ভুংজাগিন ভাল্টে, রাজ্যসভার সাংসদ মহারাজা সানাযাওবা লেইসাম্বা, সাংসদ এম.সি. মেরি কম এবং বিধায়ক রাজকুমার ইমো সিংহ। জিরিবাম স্টেশনে সুপস্থিত থাকবেন সাংসদ ড. লোর্হ এস. প্লজে এবং বিধায়ক আশাব উদ্দিন।
পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের কথায়, ওই ট্রেন প্রতি সোম, বুধ এবং শুক্রবার যাতায়াত করবে। আগরতলা থেকে সকাল রওয়ানা দিয়ে দুপুর ১২টায় জিরিবাম পৌছাবে জনশতাব্দী এক্সপ্রেস। তেমনি, জিরিবাম থেকে বিকেল ৪টায় রওয়ানা দিয়ে রাত ১০টায় পৌছাবে ওই ট্রেন। যাত্রী সাধারণ ওই ট্রেন চালু হলে দারুনভাবে উপকৃত হবেন বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, আগরতলা এবং জিরিবামের মধ্যে আমবাসা, ধর্মনগর, করিমগঞ্জ, বদরপুর এবং অরুনাচল স্টেশনে ওই ট্রেন বাণিজ্যিক স্টপেজ দেবে।