আগরতলা: উত্তর ত্রিপুরা জেলার কাঞ্চনপুর মহকুমায় রিয়াং শরণার্থী পুনর্বাসন ইস্যুকে কেন্দ্র করে আন্দোলন আছড়ে পড়লো রাজধানী আগরতলা শহরেও। বৃহস্পতিবার রাজধানী আগরতলা শহরের শিবনগর কলেজ রোডে বাঙালি ছাত্র যুব সমাজের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ বিক্ষোভ আন্দোলন সংগঠিত করা হয়। রিয়াং শরণার্থীদের কোনভাবেই ত্রিপুরায় পুনর্বাসন দেওয়া যাবে না বলে জোরালো দাবি তোলেন বাংলাদেশ ছাত্র যুব সমাজের কর্মী-সমর্থকরা। মোট ১২ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার বাঙালি ছাত্র যুব সমাজ আন্দোলনে শামিল হয়।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ আন্দোলনে শামিল হয় জানান কাঞ্চনপুর রিয়াং শরণার্থীদের আক্রমণে সুবল দে নামে এক ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং কঠোর শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাঙালি ছাত্র যুব সমাজ।আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন মিজোরাম থেকে ত্রিপুরার রিয়াং শরণার্থীদের ত্রিপুরায় পুনর্বাসন দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার একই অবস্থান গ্রহণ করে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাঙালি ছাত্র যুব সমাজ।
তারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন কোনভাবেই ত্রিপুরার রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসন দেওয়া যাবে না। এ ধরনের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হলে রাজ্যে বাঙ্গালীদের অস্তিত্ব সংকট দেখা দেবে। শুধু নাই তাই নয় বাঙ্গালীদের অধিকার রক্ষা সম্ভব হবে না।বাঙ্গালীদের অস্তিত্ব এবং অধিকার রক্ষার দাবিতে আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্য সমস্ত অংশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র যুব সমাজ। এদিকে উত্তর ত্রিপুরা জেলার কাঞ্চনপুর মহকুমায় রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলন চরম আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসন কাঞ্চন মহাকুমায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
এই আইন অমান্য করেই আন্দোলনকারীরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে কোন সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।এদিকে সরকার এবং প্রশাসন উত্তর ত্রিপুরা জেলার শরণার্থীদের পুনর্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করতে শুরু করেছে।ইতিমধ্যেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করে বেশ কিছু উপজাতীয় অংশের পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।আন্দোলনকারীদের অভিযোগ রিয়াং শরণার্থীদের পূনর্বাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে না নিলে কাঞ্চনপুর মহকুমা বাঙালি শূন্য হয়ে যেতে বাধ্য হবে।





