মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সঙ্গে থাকছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। ২০২০ সালের সীমান্ত সংঘাতের পর এই প্রথম সাক্ষাত হচ্ছে মোদি ও শি জিনপিং-এর। শুক্রবার উজবেকিস্তানের রাজধানী সমরকন্দে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন’ বা এসসিও’র সম্মেলন। আর এতেই যোগ দিচ্ছেন এশিয়ার তিন শক্তিধর দেশের নেতা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২০ সালের সীমান্ত সংঘাতের পর ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। এরপর এই প্রথম দুই দেশের প্রধান মুখোমুখি হচ্ছেন। গত দুই বছরে যদিও পরিস্থিতি অনেক বদলে গেছে। দুই দেশের সেনারাই সংঘাতপ্রবন সীমান্ত থেকে পিছু হটেছে। এখনও কিছু পয়েন্ট থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। যদিও মাঝে দুই দেশের প্রধানদের মধ্যে ফোনালাপও হয়নি।
মোদি বৃহস্পতিবারই সমরকন্দ উড়ে যাবেন।
এতে চীন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টরাও যোগ দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেন, সমরকান্দে একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তবে শি জিনপিং-এর সঙ্গে আলাদা বৈঠক হবে কিনা তা জানাননি তিনি। চীনের তরফ থেকেও এ ধরণের কিছু জানানো হয়নি এখনও।
এসসিও’র স্থায়ী সদস্য হচ্ছে চীন, ভারত, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিস্তান, তাজিকিস্তা, উজবেকিস্তান ও পাকিস্তান। রাশিয়া এরইমধ্যে নিশ্চিত করেছে যে, মোদি এবং শি উভয়ের সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। রাশিয়ার সাড় ও খাবার রপ্তানি এসব আলোচনায় প্রাধান্য পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কোয়াত্রা জানিয়েছেন, এসসিওতে এবার বাণিজ্য থেকে শুরু করে, পর্যটন, সন্ত্রাসবাদ এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হবে।