ত্রিপুরা নিউজ ডেস্ক: এই বাজেট ঐতিহাসিক বাজেট, কারণ একজন মহিলা বাজেট পেশ করেছেন। এই অভিমত ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের। ২০২২ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট সম্পর্কে নিজের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন কৃষক, যুবসমাজ, মহিলাসহ সকল স্তরের মানুষের উন্নয়নের কথা, সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আজকের এই বাজেট পেশ করা হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতের উন্নয়নমুখী বাজেট পেশ করা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বাজেট এর মূল বিষয় হচ্ছে আগামী ২৫ বছরে দেশের ভবিষ্যৎ কিভাবে তৈরি হবে এর প্রস্তুতি।
ত্রিপুরা সরকারও কিছু দিন আগে পূর্ণ রাজ্য দিবসে ৫০ বছর পূর্তিতে ত্রিপুরা রাজ্য কোন দিকে যাবে এই বিষয়ে রূপরেখা প্রকাশ করা হয়েছে। কৃষকদের সুবিধার জন্য এই বাজেটে বিশাল পরিমাণ অর্থ রাখা হয়েছে, যে অর্থ দিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্য দিয়ে শস্য কেনা হবে। গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে সারা দেশে ৮০লাখ পরিবারকে ঘর দেওয়ার জন্য অর্থ রাখা হয়েছে। গ্রামীন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন বিশেষ করে জাতীয় সড়ক নির্মাণের জন্য আলাদা করে অর্থ রাখা হয়েছে। ৪০০টি নতুন ট্রেন আগামী তিন বছরে চালু করা হবে।
এর ফলে সারাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্য লাভবান হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। সারা দেশে দুই লাখ অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের উন্নয়ন করা হবে। আত্মনির্ভর ভারতের মাধ্যমে ১৬লাখ রোজগারের ব্যবস্থা। মেকিং ইন্ডিয়ার মাধ্যমে ৬০ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে। কৃষিকাজকে জৈব পদ্ধতিতে সম্প্রসারিত করার কথা রয়েছে। ফল ও সবজির বিপণনের বিষয় উল্লেখ রয়েছে। উজ্জ্বলা যোজনায় মাধ্যমে দেশের আরও ব্যাপক অংশের মানুষের মধ্যে রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হবে। নতুন আরো ৭৫টি ব্যাংকিং ডেভলপিং ইউনিট গঠন করা হবে। দেশের অর্থনীতির পরিধি ৯.২ শতাংশ থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশের ওপর নির্ভর না করে দেশীয় যেসকল সংস্থা সৈন্যদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরি করছে তাদের জন্য সৈন্যদের খরচের ৬০শতাংশ রাখা হয়েছে।
২০২৩পর্যন্ত ডিজিটাল কারেন্সির দিকে অগ্রসর হওয়ার কথা বলা হয়েছে। আয়কর বৃদ্ধির কোন উল্লেখ করা হয়নি। এই বাজেট কৃষকদের কল্যাণকামী, শিল্প উন্নয়নমুখী, সাধারণ জনগন, যুবসমাজ ও সকল অংশের মানুষের কল্যানকামী বাজেট বলেও অভিহিত করেন। পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকদের উত্তরে বললেন ত্রিপুরা রাজ্যের অভ্যন্তরে এবং রাজ্যের দক্ষিণ দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া এবং বাংলাদেশের রেলপথ সম্প্রসারণের বিষয়ে, রাজ্যের জাতীয় সড়কের সংখ্যা বৃদ্ধি করার বিষয়ে নানা সময়ে কেন্দ্র সরকারকে বিভিন্ন সময় লিখিত আকারে পাঠানো হয়েছে। এই বাজেটে যে অর্থসংস্থান হয়েছে তা থেকে ত্রিপুরার এই কাজগুলো হবে বলে জানিয়েছেন।