আগরতলা : ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সুস্থ হওয়ার হারও পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে। রাজ্যে বর্তমানে করোনা আক্রান্ত সুস্থ হওয়ার হার ৬৩.৮৪ শতাংশ। সোমবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য দিয়েছেন শিক্ষা তথা আইন মন্ত্রী রতনলাল নাথ। সাথে তিনি যোগ করেন, গতকাল ত্রিপুরায় ৩৫ জন করোনা আক্রান্তের অধিকাংশই বাংলাদেশ থেকে ফিরেছেন।
ত্রিপুরায় গত ১৮ এবং ১৯ জুন বাংলাদেশ থেকে রাজ্যের নাগরিক ফিরেছেন। ২৮৮ জন ফেরার সূচি স্থির হয়েছিল। কিন্তু দুদিনে ২৪৬ জন ত্রিপুরার নাগরিক ফিরেছেন। গত ১৮ জুন ১২২ জন ত্রিপুরার নাগরিক ফিরেছেন। তাদের মধ্যে ৩ জনের দেহে করোনা-র সংক্রমণ মিলেছে। তেমনি, গত ১৯ জুন ১২৪ জন ত্রিপুরার নাগরিক বাংলাদেশ থেকে ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে ৩১ জনের দেহে করোনা-র সংক্রমণ মিলেছে। এদিকে, ওই সংক্রমিতদের মধ্যে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার ১৫ জন, সিপাহিজলা জেলার ৬ জন, গোমতি জেলার ২ জন, দক্ষিণ জেলার ২ জন, খোয়াই জেলার ১ জন, ধলাই জেলার ১ জন, ঊনকোটি জেলার ২ জন এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলার ১ জন রয়েছেন।
মন্ত্রী রতনলাল নাথ আজ জানিয়েছেন, বর্তমানে ত্রিপুরায় ৪৩৭ জন করোনা আক্রান্ত সক্রিয় রয়েছেন। তবে, ৭৮২ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। তাঁর কথায়, আজ ২৩ জন সুস্থ হয়েছেন। তাঁদের কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় ছুটি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী এদিন দাবি করেন, ত্রিপুরায় সুস্থ হওয়ার হার প্রতিদিন বেড়ে চলেছে। আক্রান্ত হচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু মৃত্যুকে এখনA পর্যন্ত ঠেকাতে পেরেছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। বরং, তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমে করোনা আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে উঠছেন।
এক তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, গত ৯ জুন সুস্থ হওয়ার হার ছিল ২২.৮৩ শতাংশ। তেমনি, ক্রমশ বেড়ে ১৫ জুন ৪০.১৩ শতাংশ, ২০ জুন ৫৭.৫৩ শতাংশ এবং ২২ জুন ৬৩.৮৪ শতাংশ হয়েছে। তিনি জোর গলায় বলেন, জাতীয় গড়ের তুলনায় সুস্থ হওয়ার হার ত্রিপুরায় অনেক বেশি। জাতীয় গড় ৫৩ শতাংশ। সাথে তিনি যোগ করেন, সুস্থ হওয়ার হারের দিক দিয়ে ত্রিপুরা থেকে এগিয়ে রয়েছে ৭টি রাজ্য। শুধু তা-ই নয়, নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রেও জাতীয় গড় থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে ত্রিপুরা। তাঁর কথায়, নমুনা পরীক্ষায় জাতীয় গড় প্রতি লক্ষে ৪.৩০৫ এবং ত্রিপুরায় ১৪,০১৩।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গতকাল করোনা আক্রান্তদের অধিকাংশই বাংলাদেশ থেকে ফিরেছেন। তাছাড়া, সম্প্রতি চেন্নাই সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে অনেকে বিমানে ত্রিপুরায় ফিরছেন। ফলে, তাদের মধ্যে কয়েকজনের দেহে করোনা-র সংক্রমণ মিলছে। সন্দীপ / এসকেডি