ত্রিপুরা নিউজ ডেস্ক: ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে বাজেট পেশ করেছে তা দেশের গরীব ও সাধারণ জনগণের পরিপন্থি এই অভিযোগ বামফ্রন্ট এবং তাদের সমর্থিত শাখা সংগঠনগুলির। এই বাজেটের বিরোধিতা করে মঙ্গলবার আগরতলায় বাজেটের কপি পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায় বামফ্রন্ট সমর্থিত পাঁচটি গণসংগঠন।
এ মাসে সরকারের অর্থ মন্ত্রকের তরফে যে বাজেট পেশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভাবে গরীব সাধারণ মানুষের বিপক্ষে এবং পুরোপুরি কর্পোরেটদের স্বার্থ রক্ষা করে তৈরি করা হয়েছে। এই অভিযোগে
আগরতলার সিটি সেন্টারের সামনে যৌথ ভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বামফ্রন্ট সমর্থিত পাঁচটি গণসংগঠনের সদস্যরা। এদিনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিল সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি, উপজাতি ছাত্র ফেডারেশন(টি এস এফ), এস এফ আই’র ত্রিপুরা রাজ্য শাখা, ডি ওয়াই এফ আই’র ত্রিপুরা রাজ্য শাখা এবং উপজাতি যুব ফেডারেশন(টি ওয়াই এফ)।
এই সংগঠনগুলোর সদস্য সদস্যরা প্রথমে সিটি সেন্টারের সামনে বাজেটের কপি পুড়ান। এরপর রাস্তার পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তাদের হাতে এবং গলায় ঝুলানো ছিল বাজেটের বিরোধিতা সম্বলিত নানা প্লে-কার্ড।কর্মসূচি শেষে তাঁরা বাজেটের কপি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এদিনের এই কর্মসূচি সম্পর্কে সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির সভানেত্রী রমা দাস বলেন- এ বছরের বাজেট পুরোপুরি গরিব মানুষের স্বার্থ বিরোধী এবং কর্পোরেট অংশের মানুষের স্বার্থের কথা চিন্তা করে প্রস্তুত করা হয়েছে। এ বছরের বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, গ্রামীণ রোজগার প্রকল্পের বরাদ্দ কমানো হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণে আনার কোনো পরিকল্পনা নেই। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ করের বোঝা সাধারণ মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। বেকারদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে বাজেটে কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। মানুষের জন্য নতুন কোন প্রকল্প, নতুন কোনো চিন্তা-ভাবনার উল্লেখ বাজেটে নেই। করোনা মহামারীর কারণে যে সকল মানুষ কাজ হারিয়েছেন তাঁদের কাজের সংস্থান করে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।
কৃষিকে কেন্দ্র করে সরকারের কোন দিশা নেই। অপরদিকে দেশের বড় বড় পুঁজিপতিদের কি করে আরও সুবিধা দেওয়া যায় এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।





