ত্রিপুরা নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরা রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে দপ্তর বন্টন করা হয়েছে। পুরনো মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর প্রায় অপরিবর্তিতই রাখা হয়েছে। একই ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর হাতেও পুরনো দপ্তরগুলিই রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত রবিবার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা শপথ নিয়েছিলেন। এর পরদিন অর্থাৎ সোমবার মন্ত্রিসভার ১১ জন সদস্য শপথ নিয়েছিলেন।
শপথ গ্রহণের পর প্রফেসর মানিক সাহার নেতৃত্বাধীন বিজেপি- আইপিএফটি সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করা হল। দপ্তর বন্টন করার পর মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা নিজের হাতে রেখেছেন স্বরাষ্ট্র (কারা এবং অগ্নি ও জরুরি পরিষেবা ব্যতীত), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পূর্ত (পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধি ব্যতীত), শিল্প ও বাণিজ্য তথ্য প্রযুক্তি), সাধারণ প্রশাসন, নির্বাচন এবং অন্যান্য দপ্তর যা অন্য কোনো মন্ত্রীদের মধ্যে বণ্টন করা হয়নি। উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মার হাতেও পুরনো দপ্তরগুলিই রাখা হয়েছে। এই দপ্তরগুলি হলো বিদ্যুৎ, গ্রামোন্নয়ন (পঞ্চায়েত সহ), অর্থ, পরিকল্পনা ও সমন্বয় (পরিসংখ্যান সহ), বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ। মন্ত্রী নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা(এন সি দেববর্মা) পেয়েছেন রাজস্ব ও বন।
রতনলাল নাথ পেয়েছেন শিক্ষা (উচ্চ), শিক্ষা (বিদ্যালয়) ও আইন (সংসদীয় বিষয়ক সহ)। মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় পেয়েছেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ, পরিবহণ ও পর্যটন দপ্তর। মনোজ কান্তি দেব পেয়েছেন খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা বিষয়ক এবং নগরোন্নয়ন দপ্তর। সান্ত্বনা চাকমা পেয়েছেন সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা, শিল্প ও বাণিজ্য (হ্যাণ্ডলুম, হ্যাণ্ডিক্র্যাফটস ও সেরিকালচার এবং আইটি ব্যতীত)। রামপ্রসাদ পাল পেয়েছেন কারা, অগ্নি ও জরুরি পরিষেবা, অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণী কল্যাণ, সংখ্যালঘু কল্যাণ দপ্তর। মন্ত্রী ভগবান চন্দ্ৰ দাস পেয়েছেন, তপশিলি জাতি কল্যাণ, প্রাণীসম্পদ বিকাশ ও শ্রম দপ্তর।
সুশান্ত চৌধুরী পেয়েছেন তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক দপ্তর, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া, পূর্ত (পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধি) দপ্তর। এবারের মন্ত্রিসভার নতুন দুই মুখ হলেন রামপদ জমাতিয়া এবং প্রেম কুমার রিয়াং। এই দুই নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে রামপদ জমাতিয়া পেয়েছেন জনজাতি কল্যাণ এবং শিল্প ও বাণিজ্য (হ্যাণ্ডলুম, হ্যাণ্ডিক্রাফটস ও সেরিকালচার) দপ্তর। অন্যদিকে প্রেম কুমার রিয়াং পেয়েছেন মৎস্য ও সমবায়। বুধবার রাজ্যের মুখ্যসচিব কুমার অলক এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।